কন্টেন্ট নিয়ে চাপে ইউটিউব
কনটেন্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে চাপে পড়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যমে ইউটিউব । মাধ্যমটিকে অন্তত পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ভিডিও সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার । একই সঙ্গে অন্তত ২২ কোটি ৪০ লাখ কমেন্ট সরিয়েছে শুধু প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালাকে অগ্রাহ্য করায়।
শুক্রবার(১৪ ডিসেম্বর) গুগল জানায় তারা কনটেন্ট নিয়ে এমন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আরও বেশি সক্রিয় হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং এশিয়ার সরকার এবং বড় গ্রুপগুলো ইউটিউব, ফেইসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলোকে অনেকটা চাপে রেখেছে। এর অন্যতম কারণ, এসব এখন ব্যবহার করা হচ্ছে উগ্রপন্থা ছড়াতে। তাই তাদের দ্রুত শনাক্ত করতে এবং ঘৃণামূলক কনটেন্ট সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইউরোপিয় ইউনিয়ন বলছে, সরকারের পক্ষ থেকে বলার পরও এমন উগ্রতাপূর্ণ কনটেন্ট যদি সামাজিক মাধ্যমগুলো এক ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে না নিতে পারে তাহলে জরিমানার ব্যবস্থা করা উচিত।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অনুরোধ পাবার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বিতর্কিত ও উগ্র কনটেন্ট সরিয়ে নেবার কথা বলেছে।
ইউটিউব জানিয়েছে, চলতি বছরে যেসব কনটেন্ট তাদের প্লাটফর্ম থেকে সরানোর অনুরোধ করা হয়েছে তার অধিকাংশই স্প্যাম।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, নগ্নতা সম্পর্কিত কনটেন্ট, উগ্রতা এবং স্প্যাম শনাক্ত ও সরিয়ে নেবার জন্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি রয়েছে ইউটিউবের।
ইউটিউব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯০ শতাংশ কনটেন্ট যার মধ্যে ১০ হাজার ৪০০ ভিডিও সরানো হয়েছে সহিংসতার, দুই লাখ ৭৯ হাজার ৬০০ শিশু সুরক্ষার বিষয়ে।
কিন্তু ইউটিউবে ঘৃণা ছড়ানোসহ অন্যান্য কিছু কনটেন্ট সরানো খুব কষ্টসাধ্য বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এখন মাধ্যমটিতে এমন কনটেন্ট শনাক্ত করতে ও সরাতে ১০ হাজার ডেভেলপার কাজ করেন। সামনের বছর এর পরিমাণ আরও বাড়াবে বলে জানায় ইউটিউব।