ধরুন স্পেন এ বসে আপনার বন্ধু আপনার জন্য পাঠিয়েছেন স্মোকি স্টেক এর ছবি। সাথে নিতে পারছেন তার ঘ্রাণ ও। কেমন লাগবে আপনার? অবিশ্বাস্য মনে হলেও সেদিন হয়ত আর বেশি দূরে নেই। কেননা ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীরা কিছু ঘ্রান আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছেন যাকে তারা নাম দিয়েছেন ডিজিটাল ঘ্রাণ বা ডিজিটাল স্মেল।
এই ‘ডিজিটাল স্মেল’ প্রযুক্তির মাধ্যমে ম্যাসেজিং ও ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করেই ঘ্রাণ পাঠানো যাবে বন্ধুর কাছে।
গবেষকদের দাবি, তারা এমন কিছু ইলেকট্রিক সুগন্ধি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, যা সত্যিই অভাবনীয়। যেগুলোর ঘ্রাণ অনেকটা ফল, কাঠ ও পুদিনার গন্ধের মতো। ডিজিটাল ঘ্রাণ মানুষের নাসিকা রন্ধ্রের পিছনে থাকা নিউরোনে দুর্বল ইলেকট্রনিক কারেন্ট তৈরি করবে। ফলে নাক সহজেই গন্ধ অনুভব করতে পারবে। তবে এর আগে নাকের ভিতরে ছোট্ট একটি তার প্রবেশ করাতে হবে।
মালয়েশিয়ার ইমাজিনিরিং ইন্সটিটিউটের প্রধান গবেষক আদ্রিয়ান চিওক বলেন, এটি হবে একটি স্পর্শহীন ও সমন্বিত ভার্চুয়াল বাস্তবতা
আদ্রিয়ান চিওক আরও বলেন, আমরা স্বেচ্ছায় গবেষণায় অংশ নেওয়া ৩১ জনের ওপর ভিত্তি করে বেশ কটি ইলেকট্রিক ঘ্রাণ তৈরি করতে পেরেছি।তিনি আশা করেন, আগামী এক দশকের মধ্যেই ইন্টারনেট চ্যাটিংয়ের সময় মানুষ সুগন্ধি একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারবে।
তার মতে, বিভিন্ন রোগের কারণে যারা ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন তারাও আশা করছি, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই শক্তি ফির পাবেন ।
তবে উদ্ভাবনটি নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্কও শুরু হয়েছে। অনেক বিজ্ঞানী বলছেন, ডিজিটাল বা ইলেকট্রিক গন্ধ বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের মোনেল ক্যামিকাল সেন্সেস সেন্টারের নিউরোসায়েন্টিস্ট জোয়েল মেইনল্যান্ড বলেন, বৈদ্যুতিক গবেষণার মাধ্যমে গন্ধ তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু সেটার ডিজিটাল কোনো রূপ নেই।