পরিবহন ধর্মঘট: চুক্তিতে চলছে অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সেবা
শরীফ মোহাম্মদ রাফি, যাবেন যাত্রাবাড়ি রায়েরবাগ থেকে স্কয়ার হাসপাতাল। অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না কোন রাইডশেয়ারিং পরিবহন ৷ অথচ তার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ৫-৭ টি মোটরসাইকেল। কিন্তু সবাই যাবেন চুক্তিভিত্তিক ভাড়ায়৷
কারণ অ্যাপসে ভাড়া ১৮১ টাকা দেখালেও চুক্তিতে সবাই ভাড়া হাঁকছেন ২৫০-৩০০ টাকা।
আরেকযাত্রী আফসার উদ্দিন, তিনি যাবেন বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি। চুক্তিতে সেখানে রাইডাররা ভাড়া হাঁকছেন ৪০০-৪৫০ টাকা।
পরিবহন ধর্মঘটে রাজধানী জুড়ে চলছে পরিবহন সংকট। এই সংকটের সুযোগ নিয়ে বেশি ভাড়ার আশায় অ্যাপস ভিত্তিক পরিবহনগুলো অ্যাপসে না গিয়ে চুক্তিভিত্তিক চলাচল করছে।
রোববার (২৮ অক্টোবর) ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’-এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটে এমনি চিত্র দেখা যায় যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে।
এ বিষয়ে পাঠাও-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন তারা।
অন্যদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গুলিস্তান, মতিঝিলগামী কোনো যানবাহন চলছে না। মাঝে মধ্যে দু’একটা ব্যাটারি চালিত রিকশাভ্যান চললেও সেগুলো যাত্রাবাড়ীর আগেই কাজলা এলাকায় যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে।
যানবাহন না পেয়ে এ সময় হাজার হাজার মানুষকে হেঁটেই নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। বাইকে তিনজন নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ হলেও চুক্তিভিত্তিক ভাড়া বেশি হওয়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে মহাসড়কে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ।
এছাড়া মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে রাতে ছেড়ে আসা গাড়িগুলোকে আটকে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। এতে করে ওই সব রুটে যানবাহনের বিশৃঙ্খলাও দেখা গেছে।