কেমন ছিলো ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আঘাত করা বোয়িং ৭৬৭-এর প্রযুক্তি?
নাইন ইলেভেন, বিশ্বকাঁপানো বিশেষ একটি দিন। বিশ্বের পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দিনটি ছিল ভয়াবহ-ভয়ঙ্কর। যে হামলার পরে পাল্টে গিয়েছিলো বিশ্ব রাজনীতির পুরো চিত্র। এদিন সকাল ৮:৪৫ মিনিটে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৬৭ উড়োজাহাজটি প্রায় বিশ হাজার গ্যালন জেট ফুয়েল নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নর্থ টাওয়ারে আঘাত করে। এটি ছিল ১১০ তলা ভবন যার ৮০ তলায় আঘাত করে উড়োজাহাজ।
কেমন ছিলো সেই ৭৬৭ এর প্রযুক্তি?
বোয়িং ৭৬৭ মুলত একটি মিড লং ওয়াইড রেঞ্জ বডির একটি উড়োজাহাজ। এতে রয়েছে সর্বাধুনিক টুইন জেট ইঞ্জিন ও টার্বো ফ্যান প্রযুক্তি। এ এই বিমানটিতেই প্রথম টু ক্রু গ্লাস ককপিট যোগ করে বোয়িং। এছাড়া টার্বো ফ্যান ইঞ্জিন ও কনভেনশনাল টেইল ও সুপার ক্রিটিক্যাল উইং ডিজাইনের কারণে ইঞ্জিনে কখনো গোলাযোগ দেখা দিলেও উড়োজাহাজটি গ্লাইডিং করে জরুরি অবতরণের সক্ষমতা রয়েছে। ১ লাখ ৮৫ হাজার কেজি জ্বালানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন উড়োজাহাজটিতে ঘণ্টায় ৭ হাজার ১৩০ থেকে ১১ হাজার ৮২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ছুটতে পারে। একবারে উড্ডয়নে উড়োজাহাজটি ১৮১ জন থেকে ৩৭৫ জন যাত্রী বহন করতে পারত।
ল্যান্ডিং গিয়ার
এয়ারক্রাফটিতে রয়েছে হাইড্রোলিক অপারেটেড রিট্র্যাক্টএবল ট্রাইসাইকেল ল্যান্ডিং গিয়ার। যার সামনের রিট্রাইক্টিং নোজটি মেনেসকো এর তৈরি এবং ইনওয়ার্ড এর প্রধান ল্যান্ডিংগিয়ার টি সরবরাহ করেছে শেভল্যান্ড নিউম্যাটিক কোম্পানি। হানিওয়েল কোম্পানির তৈরি করা উড়োজাহাজের চাকায় যুক্ত করা হয়েছিলো ডিস্ক ব্রেক ও প্রধান অবতরণ গিয়ারে যুক্ত ছিলো হাইড্রোক্যালি একিউটেড টেইল স্কিড। যা অবতরণের পর দিক নির্দেশনা ঠিক করতে সাহায্য করে।
প্রসঙ্গত ২০১১ সালের ২৯ আগস্ট বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা জিএমজি এয়ারলাইন্স তার বহরে বোয়িং ৭৬৭-৩০০ এয়ারবাস যোগ করে। যা বাংলাদেশে এস২-এএফএক্স হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছিলো। যদিও সংস্থাটির কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।