করোনা আতঙ্কে থমকে গেল ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গন

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্থগিত হয়ে গেল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট -ছবি: বিসিবি

স্থগিত হয়ে গেল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট -ছবি: বিসিবি

করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও চলছিল বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। সঙ্গে ব্যস্ত ছিল ঢাকার ঘরোয়া ফুটবলও। কিন্তু বাস্তবতা মেনে নিয়ে সোমবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ক্রিকেট, ফুটবলসহ সব ধরনের খেলাধুলার আয়োজন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।

তার পথ ধরেই সোমবার এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে আপাতত স্থগিত ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড। তারা জানায়, ‘সূচি অনুযায়ী ১৮ ও ১৯ মার্চ হতে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।’

বিজ্ঞাপন

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়েছে গত রোববার। প্রথম রাউন্ড শেষেই করোনাভাইরাস আতঙ্কে থেমে গেল লিগ লড়াই। এ অবস্থায় সরকারের পরামর্শ মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বিসিবি।

সোমবার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রীসভার বৈঠকে একজন মন্ত্রী বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন ক্রিকেট, ফুটবল টুর্নামেন্ট হচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব ঘরোয়া খেলা বন্ধ রাখবেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক কোনও ইভেন্ট যদি থাকে সেটিও এপ্রিলের পরে করার অনুরোধ করব।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে ঘরোয়া ফুটবল অঙ্গনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, মেয়েদের ফুটবল লিগ আর জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপসহ ফুটবলের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

সোমবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে ফুটবলের সব কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়টি জানিয়েছে বাফুফে।

বিবৃতিতে বলা হয়- ১৩টি ক্লাব ফুটবল দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ২০১৯-২০, মহিলা ফুটবল লিগ ২০১৯-২০, জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৯-২০ এর খেলাসহ ফুটবলের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।

সব মিলিয়ে করোনা আতঙ্কে স্থগিত হয়ে গেল দেশের ক্রীড়াঙ্গন। কারণটাও সংগত বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।