‘রংপুরকে থামাবে কে?’ – প্রশ্নটা এখন করাই যায়। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে তারকাখচিত দল কি না, সে হিসেবটায় তর্ক থাকলেও মাঠের খেলাতে যে রংপুরই এগিয়ে, তার প্রমাণই দিচ্ছে নুরুল হাসান সোহানের দল। গ্লোবাল সুপার লিগ জিতে আসা দলটা এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও তুলে নিয়েছে টানা পঞ্চম জয়। ঢাকা ক্যাপিটালসকে ১১১ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে তারা জয় তুলে নিয়েছে ৭ উইকেটে, ৪০ বল হাতে রেখেই।
রংপুর যেমন অপ্রতিরোধ্য, তেমনি ঢাকা ক্যাপিটালস যেন রীতিমতো বেহুলার বাসর। নিজেদের তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরে এই ম্যাচে পা রেখেছিল শাকিব খানের দল, এবার রংপুরের কাছে দ্বিতীয় হার থেকে সে সংখ্যাটা উন্নীত হয়েছে চারে।
হারের বৃত্ত থেকে বেরোতে দলটা আজ একাদশে পরিবর্তন এনেছিল পাঁচটা। ঢাকা তাদের একাদশে এনেছিল ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটার জেসন রয়, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেনের মতো নাম। তবে তাতেও কাজ হয়নি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকার ইনিংস থেমে যায় মাত্র ১১১ রানে। ১৬.৩ ওভারে অলআউট হওয়া ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন তানজিদ হাসান তামিম, যিনি করেন ২০ রান। দলের সঙ্গে মাত্র গতকাল যোগ দেওয়া ইংলিশ তারকা জেসন রয় করেন ১৮ রান।
এছাড়া হাবিবুর রহমান ১৪, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১২ এবং আলাউদ্দিন বাবু ১৬ রান করেন। তবে বাকিদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। অধিনায়ক থিসারা পেরেরা গোল্ডেন ডাক নিয়ে মাঠ ছাড়েন, আর সাব্বির রহমান খেলেন ৭ বলে মাত্র ২ রানের ইনিংস।
রংপুর রাইডার্সের বোলাররা ছিলেন যথেষ্ট আগ্রাসী। নাহিদ রানা ৩ উইকেট নেন মাত্র ২১ রানে। আকিফ জাভেদ ও খুশদিল শাহ শিকার করেন ২টি করে উইকেট। রংপুরের শক্তিশালী বোলিংয়ের সামনে ঢাকা যেন দাঁড়াতেই পারেনি।
আগের দিন দুইশ’রও বেশি রান তাড়া করে জিতে যাওয়া রংপুরের সামনে এ রান বালির বাঁধ, তা প্রথম ইনিংস শেষেই মনে হচ্ছিল। রংপুর তা মনে করালও। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা অ্যালেক্স হেলস ২৭ বলে করলেন ৪৪, তাতেই রানটা অনেক কাছে চলে আসে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নদের। এরপর শেষ দিকে খুশদিল শাহর ১৩ বলে ২৭ রানের ইনিংস ৪০ বল হাতে রেখে অনায়াস এক জয় এনে দেয় রংপুরকে। ঢাকার হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান সবচেয়ে ভালো বিশ্লেষণ নিয়ে দিন শেষ করেছেন, ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ১ উইকেট।
এই হারের ফলে ঢাকা রইল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। ৪ ম্যাচ খেলেও পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি দলটা। এদিকে ৫ ম্যাচে ৫ জয়ের ফলে রংপুর শীর্ষে অবস্থানটা আরও শক্ত করল।