ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে তাদের আয়োজিত সব প্রতিযোগিতায় বোলিং করা থেকে নিষিদ্ধ করেছে। লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বাধীন পরীক্ষাগারের রিপোর্ট অনুযায়ী, তার বোলিং অ্যাকশনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে সারে দলের হয়ে সাসেক্সের বিপক্ষে খেলায় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ম্যাচের আম্পায়ার স্টিভ ও'শাগনেসি এবং ডেভিড মিলন্স। ঐ ম্যাচে সাকিব ৯টি উইকেট শিকার করেন। পরে তাকে বোলিং অ্যাকশনের বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
ইসিবি তাদের বিবৃতিতে জানায়, ‘সাকিব চলতি মাসে লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বাধীন মূল্যায়ন সম্পন্ন করেছেন, যেখানে দেখা গেছে তার বোলিং অ্যাকশনে কনুইয়ের প্রবণতা ১৫ ডিগ্রির সীমা অতিক্রম করেছে, যা নিয়ম লঙ্ঘন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই নিষেধাজ্ঞা ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে এবং ইসিবির সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন পর্যালোচনার নিয়ম অনুসারে পরিচালিত হবে।’
বিজ্ঞাপন
সাকিবের ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবার তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠল, এবং নিষিদ্ধও হলো। সাকিবকে আবার বোলিং করার জন্য ইসিবির অনুমোদন পেতে তার অ্যাকশনের পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
সাকিব তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৭১২ উইকেট শিকার করেছেন। সারে দলে তার এই খেলা ছিল ২০১০-১১ মৌসুমে উস্টারশায়ারের হয়ে খেলার পর প্রথম কাউন্টি ম্যাচ।
টানা ৬ জয় নিয়ে সাফল্যে আকাশে উড়তে থাকা রংপুর রাইডার্সকে এবার মাটিতে নামিয়ে আনার সুযোগটা হাতছাড়া করল খুলনা টাইগার্স। প্রায় জিততে থাকা ম্যাচটাও হেরে গেলে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। শেষের রোমাঞ্চে খুলনাকে হারিয়ে বিপিএলে অবিশ্বাস্য জয়যাত্রা ধরে রাখল রংপুর। নুরুল হাসান সোহানের দল তুলে নিল টানা ৭ ম্যাচে জয়!
উত্তরবঙ্গের দলটিকে আজ চমকে দিতে যাচ্ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। কিন্তু শেষে এসে সবশেষ তাদের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খুলনার বিপক্ষে ৮ রানের জয় তুলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্সকে। এনিয়ে ৫ ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জিতল খুলনা!
সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে আজ সোমবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রংপুর তুলে ১৮৬ রান। জবাবে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে খুলনা তুলে ১৭৮ রান। শেষ ৬ বলে ১২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি খুলনা।
১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের ২৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে ভর করে শুরুটা দারুণভাবে করে খুলনা। ১১ ওভারের শুরুতে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়লে ক্রিজে থাকা মোহাম্মদ নাইমকে সঙ্গ দিতে আসে আফিফ হোসেন। ১৫তম ওভারে মেহেদী হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে ৭টি চার ও ২টি বাউন্ডারিতে ৪১ বলে ৫৮ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি।
এরপরে দলের হাল ধরেন আফিফ হোসেন। করেন ১৫ বলে ২৯। কিন্তু তিনি ফিরতেই সবশেষ! রংপুরের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন আকিফ জাভেদ। দুটি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মেহেদী হাসান।
এর আগে সিলেট আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং স্টিভেন টেলর শুরুটা ভালোভাবে করলেও আবু হায়দারের স্পিনিংয়ে অল্পতেই কাঁবু হয়ে যান। ৩য় ওভারের শুরুতে ৮ বলে ১৩ রান করে টেলর সাজঘরে ফিরলে প্রথম উইকেট হারায় রংপুর। তাওফিক খানকে সঙ্গে নিয়ে এক লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন সাইফ হাসান। তবে তিনিও বেশীক্ষণ মাঠে স্থিতি হতে পারেন নি। আরেক স্পিনার হাসান মাহমুদের বলে ধরাশায়ী হয়ে ৭ রান নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এরপর দলের ওপেনিং বিপর্যয় এড়াতে কিছুটা সময় নিয়ে খেললেন তাওফিক। ৩০ বলে ৪টি চার ও ১ বাউন্ডারি দিয়ে ৩৬ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি। তবে আবু হায়দারের বলে মোহাম্মদ নাওয়াজের তালুবন্ধি হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
১০ ওভার থেকে দলীয় সংগ্রহকে টেনে তুলেন মিডল অর্ডারে নামা ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। দুই পাকিস্তানি ব্যাটারের দাপটে শেষপর্যন্ত ১৮৬ রানের লড়াকু পুজি সংগ্রহ করে রংপুর রাইডার্স। হাসান মাহমুদের বলে আউট হওয়ার আগে ৫টি চার দিয়ে ৩৬ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন ইফতেখার।
৩৫ বলে ৭৫ রানের জড়ো ইনিংস খেলে দলকে লড়াকু পুজি এনে দেন অপরাজিত থাকা খুশদিল শাহ। যেখানে ৬ টি বাউন্ডারি ও ৪ টি চার দিয়ে ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। খুলনা টাইগার্সের হয়ে ২ উইকেট করে তুলে নেন আবু হায়দার ও হাসান মাহমুদ।
তারপর পথ শেষটাতে এসে দুর্দান্ত বল করলেন রংপুরের বোলাররা। দলকে এনে দিলেন মনে রাখার মতো এক জয়!
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি মৌসুমে পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গত মৌসুমে কলকাতার নেতৃত্বে থাকা শ্রেয়াস আইয়ার। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্ব দেওয়া শ্রেয়াস গত মৌসুমের পরই ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাঞ্জাব কিংস তাকে ২৬.৭৫ কোটি রুপিতে দলে নিয়েছে, যা নিলামে দ্বিতীয় সবোর্চ্চ দাম।
৩০ বছর বয়সী শ্রেয়াস ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলসহ সব ফরম্যাট মিলিয়ে চারটি শিরোপা জিতেছেন। গত বছর সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতে তার নেতৃত্বেই ট্রফি জিতেছে মুম্বাই দল। রঞ্জি ট্রফি এবং ইরানি ট্রফি জয়ী মুম্বাই দলের হয়ে মাঠে ছিলো আইয়ার।
আইপিএলে নতুন দলের দায়িত্ব পেয়ে তার উচ্ছসিত আইয়ার এমন একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাইবেন, যাদের কপালে এখনও শিরোপা জুটেনি। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ফাইনালে পৌঁছেছিল পাঞ্জাব কিংস, তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হেরে যাওয়ায় অধরা রয়ে যায় শিরোপা।
অধিনায়কত্ব পেয়ে আইয়ার বলেন, ‘আমি সম্মানিত যে দলটি আমার উপর আস্থা রেখেছে। আমি কোচ পন্টিংয়ের সঙ্গে আবার কাজ করতে মুখিয়ে আছি। দলটি শক্তিশালী, যেখানে সম্ভাব্য এবং প্রমাণিত পারফরমারদের একটি চমৎকার মিশ্রণ রয়েছে।’
২০২০ সালে আইয়ার আরি পন্টিং এক সঙ্গে দিল্লী ক্যাপিট্যালসকে প্রথমবারের মতো ফাইনাল অব্দি নিয়ে যান। এবারেও এমন কিছু আশা করেন পাঞ্জাব কিংসের সিইও সতীশ মেনন। তিনি বলেন,‘আইয়ারকে পেয়ে আমরা খুব খুশি। তিনি এবং পন্টিং আবার একসাথে কাজ করায় আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের দল একটি শক্তিশালী নেতৃত্ব পেয়েছে, যা আমাদের প্রথম শিরোপা জেতার দিকে পরিচালিত করবে।’
ক্রিকেটের প্রতি মানুষের অনুরাগ আর উচ্ছ্বাস সর্বজনবিদিত। তবে এই বছরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বরিশালবাসীর উন্মাদনা ছাপিয়ে যাচ্ছে নতুন মাত্রায়। ফরচুন বরিশাল অসাধারণ পারফরম্যান্স করে র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করলেও হতাশার ছায়া রয়ে গেছে। সেটি হলো বরিশালের ঘরের মাঠে খেলা আয়োজন না হওয়া।
আন্তর্জাতিক মানের বরিশাল স্টেডিয়াম দীর্ঘদিন ধরে অচল। শহরের ক্রীড়া প্রেমীরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিপিএলের মতো আসরে নিজেদের মাঠে খেলা দেখার সুযোগ না পাওয়ায়।
বরিশালের ক্রীড়াপ্রেমী আশিকুজ্জামান বলেন, যদি আমাদের মাঠে ফরচুন বরিশালের ম্যাচ আয়োজন করা যেত, তাহলে স্থানীয় তরুণ খেলোয়াড়রা অনুপ্রাণিত হতো। আর মাঠে খেলা দেখার আনন্দই আলাদা।
বরিশালের প্রশিক্ষণরত নতুন ক্রিকেটার ফরহান আহমেদ জানান, বরিশালের সমর্থন আমাদের শক্তি। তাদের ভালোবাসা আমাদের আরও বেশি প্রেরণা দেয়। মাঠে খেলার সুযোগ না পেলেও, আমরা সবাই একসঙ্গে জিততে চাই।
আরেকজন ক্রিকেটার আরিফ হোসেন জানান, ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলা মানে এক স্বপ্ন। বরিশালবাসীর ভালোবাসায় অটুট বিশ্বাস রেখে আমরা শুধু জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি।
ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান বলেন, বরিশালের স্টেডিয়ামটি দ্রুত সংস্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার সংস্কৃতি এবং নতুন প্রতিভার বিকাশের জন্য খেলা আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই।
খেলা মাঠে দেখতে না পারলেও বরিশালবাসী প্রিয় দলের জয় উদযাপনে কমতি রাখছে না। প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের রাজশাহীর বিপক্ষে জয়ের পর থেকেই পুরো শহর ক্রিকেট উম্মাদনায় ভাসছে। ৬ ও ৭ জানুয়ারির টানা দুই ম্যাচে জয় পাওয়ার পর এই উদ্দীপনা বেড়েছে আরও বহুগুণ।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রজেক্টরে খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোথাও খিচুরি পার্টি, কোথাও বারবিকিউ আয়োজন করে সমর্থকেরা উদযাপন করেছেন খেলার আনন্দ। বিএম কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল বারী বলেন, বরিশালে ক্রিকেট মানেই অন্যরকম এক আবেগ। ফরচুন বরিশালের খেলা হলে গোটা শহর জেগে ওঠে। এবারের দলটিও বেশ শক্তিশালী।
নিউটন নামের এক ব্যবসায়ী জানান, তার প্রজেক্টর ভাড়া নিয়ে নগরীতে কাড়াকাড়ি পড়েছে। বিপিএলের দিনগুলোতে সাউন্ড সিস্টেম ও প্রজেক্টরের ভাড়া নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে তাকে।
বরিশাল জেলা ক্রীড়া অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ দ্রুতই শেষ করার চেষ্টা চলছে। এটি শেষ হলে আমরা বিপিএলসহ আন্তর্জাতিক মানের খেলাগুলো আয়োজন করতে পারব। বরিশালের মানুষ এই কাজ দ্রুত শেষ হওয়ার প্রত্যাশা করছে।
বরিশালবাসীর আশা, স্টেডিয়ামের সংস্কার শেষ করে ঘরের মাঠে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলাগুলোর আয়োজন হবে। ক্রীড়াঙ্গনে বরিশালের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সরকারের সঠিক পদক্ষেপ ও দ্রুত উদ্যোগের অপেক্ষায় ক্রীড়ামোদীরা।
ফরচুন বরিশালের উজ্জ্বল পারফরম্যান্স, সমর্থকদের ভালোবাসা আর স্টেডিয়াম উন্নয়নের স্বপ্ন মিলে বরিশালে একটি নতুন ক্রীড়াযুগের সূচনা হবে এটাই বরিশালের প্রত্যাশা।
গত বছর জুলাইয়ে নারী এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারিং করেছেন সাথিরা জাকির জেসি। এবার তার সামনে নতুন মিশন। মালয়েশিয়াতে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতেও তাঁকে আম্পায়ারের ভূমিকায় দেখা গেছে। তবে স্বপ্ন দেখতেন বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করার। এবার সে স্বপ্ন ধরা দিল ৩৪ বছর বয়সী জেসি হাতে।
আগামী শনিবার থেকে মালয়েশিয়ায় শুরু হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনা করবেন তিনি। টুর্নামেন্টে খেলা পরিচালনার জন্য আজ ২০ সদস্যের ম্যাচ অফিসিয়ালের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি । সেই তালিকায় আছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি।
তবে সাথিরার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এর আগেও এসেছিল। গত অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাথিরার আম্পায়ারিং করার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আর তাতেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয় সাথিরার। তবে এবার বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপ দিয়ে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে তার।
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০ জন ম্যাচ অফিশিয়ালের ১৬ জন আম্পায়ার। সেখানে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন সাথিরা। ম্যাচ অফিশিয়ালের দায়িত্বে থাকছেন আরও ১৩ দেশের ১৯ জন।
গত বছরের মার্চে আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে যুক্ত হন সাথিরা। আম্পায়ার হিসেবে বাংলাদেশে ছেলেদের ঘরোয়া ক্রিকেটেও ম্যাচ পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা আছে তার।