বোলিংয়ে সাকিবের ছন্দে ফেরার আভাস, জিতল বাংলা টাইগার্স 

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সবচেয়ে অভিজ্ঞ বাংলাদেশি কোনো ক্রিকেটের নাম জানতে চাইলে সবাই অনায়াসেই বলবে সাকিব আল হাসানের নাম। সেই ধারা এখনও রয়েছে চলমান। এবার তো গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডায় বাংলা টাইগার্সের নেতৃত্বেই রয়েছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। তবে ব্যাটে-বলে পুরোদস্তুর ব্যর্থতা দিয়ে কানাডার এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগে যাত্রা শুরু করে সাকিব। আসরে বাংলা টাইগার্স মিসিসাগারের হয়ে প্রথম ম্যাচে বল হাতে উইকেটশূন্য এবং ব্যাটিংয়ে করেছিলেন স্রেফ ৩ রান। মন্ট্রিয়েল টাইগার্সের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৩৩ রানে হেরেছিল সাকিবের দল। 

তবে পরের ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন সাকিব। ব্যাটে আরও একটি হতাশার ইনিংস শেষে ফিরলেও বল হাতে করেন দারুণ এক স্পেল। নেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এবং সাকিবের বোলিংয়ে ছন্দে ফেরার এই দিনে ভ্যানকুভার নাইটসের বিপক্ষে ২২ রানে জেতে বাংলা টাইগার্স। 

বিজ্ঞাপন

গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডায় খেলার আগে মেজর লিগ ক্রিকেটের এবারের আসরেও খেলেছিলেন তিনি। তবে সেখানে ৪ ম্যাচে ১০ ওভার বল করে উইকেট নিয়েছিলেন স্রেফ একটি। এদিকে ইকোনমিটাও ১১.১০, যা সাকিবের নামের পাশে কিছুটা বেমানানই ছিল। তবে কানাডায় এক ম্যাচ পরই দেখালেন নিজের জাত। ৪ ওভার বল করে নেন ৩ উইকেট, যেখানে রান দিয়েছেন স্রেফ ১০। 

গতকাল ব্রাম্পটনের সিএএ সেন্টারে অবশ্য টসে জিতেছিল ভ্যানকুভার। আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তাদের অধিনায়ক উসমান। সেখানে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে সাকিবের দল। ১৪ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে দুই ওপেনারের উইকেট। পরে ইফতিখার আহমেদের অপরাজিত ৫০, হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের ৩৩ এবং শেষে ডিলন হেইলিগারের ২৭ রানের ক্যামিওতে ১৫২ রানের লড়াকু পুঁজি পায় তারা। সেখান আরও একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব, ফিরেছেন কেবল ২ রান করে। 

এদিকে ১৫৩ রানের সহজের কাতারের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলা টাইগার্সের দলীয় বোলিং নৈপুণ্যের মুখে পড়ে ভ্যানকুভারের ব্যাটাররা। সাকিব, শরিফুল ও ডেভিড ভিসার বোলিং তোপে দলীয় সংগ্রহ ৩১ রানে পৌঁছাতেই তারা হারায় ৫ উইকেট। ম্যাচ থেকে মূলত সেখানেই ছিটকে যায় উসমান খাজার দল। পরে দলীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলা হার্শ ঠাকের কিছুটা লড়াই চালালেও তা ছিল না যথেষ্ট। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে তাদের সংগ্রহ থামে ১৩০ রানে এবং ২২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাকিব-শরিফুলরা। 

সেখানে সাকিবের তিন উইকেট বাদেও একটি করে উইকেট নেন শরিফুল, ভিসা ও গুরপাল। আগের ম্যাচের মতো এদিনও বল হাতে বেশ কিপটে ছিলেন শরিফুল। ৪ ওভারে দেন স্রেফ ১২ রান। এই জয়ের পর পয়েন্ট তালিকার চারে উঠে এসেছে সাকিবের দল। দুই ম্যাচের দুটিতে জিতে এই মুহূর্তে শীর্ষে আছে টরোন্টো ন্যাশনালস।