লিয়ানাগের সেঞ্চুরিতে ২৩৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ লঙ্কানদের 

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বোলাররা সারলেন তাদের দায়িত্ব। এবার পালা ব্যাটারদের। শুরু থেকে চাপে রেখে লঙ্কান দলের বাকি ব্যাটারদের চড়ে বসতে দেননি তাসকিন-মুস্তাফিজ-মিরাজরা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল জানিথ লিয়ানাগে। দলীয় ৭৪ রানে ৪ উইকেটের সময় ব্যাটিংয়ে নামেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সেখান থেকে চাপ সামলে একপ্রান্ত আগলে রেখে তুলেছেন সেঞ্চুরি। লিয়ানাগের এই অপরাজিত ১০১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে চড়েই দুইশ ছাড়িয়ে ২৩৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।

চট্টগ্রামের জহুর আহ্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টসে জিতে লঙ্কানরা। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান তোলে কুশল মেন্ডিসের দল। 

বিজ্ঞাপন

ইনিংসের শুরুতেই নিজের পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনার পাতুম নিশাঙ্কা (১) ও আভিশকা ফের্নান্দোকে (৪) ফেরান তাসকিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দারুণ এক ইন-সুইংয়ে নিশাস্কাকে লেফ বিফোরের ফাঁদে ফেলার পর দলীয় ১৫ রানের মাথায় উইকেটে পিছনে ধরাশায়ী করেন এই ডানহাতি পেসার। 

শুরুর সেই চাপ সামলে ওঠার আগেই ফের চাপে পড়ে সফরকারীরা। দলীয় ৪১ রানের মাথায় এবার সাদিরাকে (১৪) ফেরান মুস্তাফিজ। দুই ওয়ানডের পর একাদশে ফিরে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। তবে অপরপ্রান্তে এগোচ্ছিলেন ইনফর্ম ব্যাটার অধিনায়ক মেন্ডিস। আসালাঙ্কা নিয়ে রানের গতি সচল রেখে এগোনোর পথে এবারের বাঁধা রিশাদ। একদিনের ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম বলেই তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক মেন্ডিসের (২৯) গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।  

লঙ্কান স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেটে ৭৪ রান। সেখানেো নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফিরলেও সময় নিয়ে পিচে থিতু হন লিয়ানাগে। টপ টু মিডল অর্ডারের সবাই ব্যর্থ হলেও অষ্টম উইকেটে মাহিশ থিকশানাকে নিয়ে গড়েন ৬০ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি। থিকশানা ১৫ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত টিকে শেষ ওভারে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তোলেন লিয়ানাগে। তার ১০২ বলে ১০১ রানেই এই দারুণ ইনিংসটি সাজান ১১ চার ও ২ ছক্কায়। 

বাংলাদেশের হয়ে বোলারদের মধ্যে ১০ ওভারে ৪২ রান খরচে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাসকিন। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ ও মিরাজ। এদিকে ম্যাচের ফিল্ডিংয়ে একের পর এক চোটের ধাক্কা খেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। লম্বা সেই তালিকায় আছেন এনামুল, মুস্তাফিজ, সৌম্য ও জাকের। তাদের মধ্যে মুস্তাফিজ ও জাকের মাঠ ছেড়েছেন স্ট্রেচারে করে।