ধর্মশালায় স্পিন ইন্দ্রজালে বাঁধা পড়ল ইংল্যান্ড। কুলদীপ যাদব আর শততম টেস্ট খেলতে নামা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঘূর্ণিতে প্রথম দিনের দুই সেশনের কিছু বেশি টিকল সফরকারীর। ব্যাটিং দুর্দশায় ৫৭.৪ ওভারে ২১৮ রানে থামতে হয় বেন স্টোকসের দলকে।
নিজের ১২তম টেস্টে এসে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফাইফার তুলে নেন কুলদীপ। এবং শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে চার উইকেট অশ্বিনের নামে। বাকি এক উইকেটও স্পিনারের ঝুলিতেই, রবীন্দ্র জাদেজার।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ছিল ইংলিশদের দখলেই। ৬৪ রানে তখনও ক্রিজে দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। সেখান থেকেই ইংলিশদের দিনের প্রথম ধাক্কা দেন কুলদীপ, সাজঘরে বেন ডাকেট। সেই থেকেই শুরু ধর্মশালায় ইংলিশদের স্পিন জুজু। ঠিক ১০০ রানের মাথায় ইংলিশদের সহ-অধিনায়ক ওলি পোপকেও আউট করেন কুলদীপ।
তবে আরেক-প্রান্তে ওয়ানডে মেজাজে রান তুলছিলেন জ্যাক ক্রলি। এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে সেখানে ফের বাঁধা হন কুলদীপ। শুরুর দুইটির পর তৃতীয় উইকেটও এই বাঁহাতি স্পিনারের দখলে। এই তারকা স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ১০৮ বলে ৭৯ রান করেন ক্রলি।
সেখানে শততম টেস্টে ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন জনি বেয়ারস্টো। এদিকে তাকে সঙ্গ দিয়ে চাপ সামাল দিয়ে এগোন রাঁচিতে লম্বা সময় পর রানে ফেরা রুট। তবে দলীয় ১৭৫ রানের মাথায় ফেরেন দুজনই। আগে কুলদীপের ঘূর্ণিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেরেন রুট (২৬), পরে রবীন্দ্র জাদেজার বলে ফেরেন বেয়ারস্টো (২৯)। এরপর ব্যাটে নামা ইংলিশ অধিনায়ককে স্টোকসকে (০) বুঝে ওঠার আগেই সাজঘরের রাস্তা মাপান কুলদীপ।
১ উইকেটে ১০০ রানে পৌঁছানোর পর ১৭৫-এ না যেতেই নেই ৬ উইকেট। বাকি ৪ উইকেটে এবার অফ ব্রেক ঘূর্ণির পালা। সেই দায়িত্ব বেশ ভালোভাবে সামলিয়ে শেষ চার ব্যাটারের উইকেট তুলে নেন অশ্বিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (ধর্মশালা টেস্ট, প্রথম দিন*)
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ২১৮ (৫৭.৪ ওভার) (ক্রলি ৭৯, বেয়ারস্টো ২৯; কুলদীপ ৫/৭২, অশ্বিন ৪/৫১)