শেন ওয়ার্ন তখন ছুটি কাটাচ্ছেন থাইল্যান্ডের এক দ্বীপ কোহ সামুইয়ে। তবে মুহূর্তে তার ছুটির মুহূর্ত মলিন হয়ে এলো রডনি মার্শের মৃত্যুর খবরে। থাইল্যান্ডে বসেই টুইটারে মনের ভাব প্রকাশ করলেন রডনিকে নিয়ে। তবে কে জানত তার ঘণ্টা ১২ না পেরোতেই তাকেও ধরতে হবে একই পথ।
ওয়ার্নের সেই টুইটের অর্ধেক দিন না পেরোতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ওয়ার্ন। ওই হার্ট অ্যাটাকই, কিছুক্ষণ আগে রডনি মার্শকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল যা। তবে ৭৪ বছর বয়সে রডনির জন্য সেটি বার্ধক্যজনিত হিসেবে মেনে নেওয়া গেলেও ৫২ বছরেই ওয়ার্নের এই বিদায় অনেকটা না চাওয়াই।
আজ ৪ মার্চ। ওয়ার্নের মৃত্যু পেরল দুই বছর। ওয়ার্নের লেগ স্পিন ঝলক পেরিয়েছে প্রায় ১৭ বছর। তবুও এই সেক্টরে যেন এখনো একক রাজত্ব এই লেগ স্পিন জাদুকরের।
১৯৯২ সালের একদম শুরুতে ঘরের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আগমন ওয়ার্নের। এরপর থেকেই তার স্পিন ঘূর্ণি রীতিমত অবাক বনে পাঠিয়েছিলেন সবাইকে। তবে পরের বছরের অ্যাশেজে যা করেছিলেন তা যেন আজীবন মনে রাখবে ক্রিকেট ভক্তরা। ১৯৯৩ সালের ৪ জুন, অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। সেখানে মুহূর্তে লাইমলাইট ওয়ার্নের দিকে। লেগ স্টাম্পের বাইরের এক বল উড়িয়ে দিল মাইক গ্যাটিংয়ের অফ স্টাম্প। ডানহাতি গ্যাটিং তাকিয়ে রইলেন হা করে। গ্যাটিংকে আউট করা এই বলটাই তকমা পেয়েছে 'বল অব দ্য সেঞ্চুরি' বা শতাব্দীর সেরা বল।
এই জাদুকর এখন কেবল স্মৃতিতেই। যদিও এই স্মৃতি লেগ স্পিন নিয়ে কোনো বই লেখা নিশ্চিতভাবেই থাকবে তার শিরোনামেই।