শচীনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ডোনাল্ড

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রোটিয়া কিংবদন্তি পেসার অ্যালান ডোনাল্ড শচীন টেন্ডুলকারের প্রশংসা করে বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ক্রিকেটে সফরকারী ব্যাটারদের মধ্যে শচীন টেন্ডুলকারের অবস্থান বাকিদের থেকে আলাদা।

শচীন টেন্ডুলকার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তার ক্যারিয়ারের মোট ১৫,৯২১ টেস্ট রানের মধ্যে ১১৬১ রান করেছেন। সেখানে তিনি ১৯ বছরে ৫ টি টেস্ট খেলেছেন। টেন্ডুলকার এবং ইংল্যান্ডের ওয়াল্টার হ্যামন্ড (১৯২৭-১৯৩৯) দক্ষিণ আফ্রিকায় ১০০০-এর বেশি রান করা একমাত্র সফরকারী টেস্ট ব্যাটসম্যান। হ্যামন্ড ১৫ ম্যাচে ৬২.৯১ গড়ে ১৪৪৭ রান করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ডোনাল্ড বলেন, 'আমি জানি একমাত্র ব্যক্তি যিনি আমাদের বিপক্ষে ভালো খেলেছেন, তিনি হলেন টেন্ডুলকার। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাট করার সময় মিডল স্টাম্পে না দাঁড়িয়ে সাহসের সঙ্গে ট্রিগার মুভমেন্ট করেছিলেন। আশ্চর্যজনকভাবে বোলারদের চাপে রাখা এবং খেলা নিয়ন্ত্রণে রাখতেন।‘

তিনি আরও বলেন, ‘লড়াই করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ সহজ জায়গা না। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এখানে প্রতিদিন বল অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের চেয়ে বেশি স্পিন করে। যদি আপনার পায়ের কাজ ১০০ শতাংশ না হয় তবে আপনি সমস্যায় পড়বেন।‘

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দ্বিতীয় টেস্টে টেন্ডুলকারের প্রথম সেঞ্চুরি আসে। ১৯৯২ সালের ২৭ শে নভেম্বর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী আক্রমণের বিরুদ্ধে মানিয়ে নিয়েছিলেন। এই ইনিংসটি বিশেষ ছিল কারণ এটি তাকে ১৯ বছর এবং ২১৭ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০০ রান অতিক্রম করিয়েছিল।

১৯৯৭ সালের ২ জানুয়ারি কেপটাউনের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৬৯ রান করেন শচীন টেন্ডুলকার। ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর ব্লোমফন্টেইনের গুডইয়ার পার্কে টেন্ডুলকারের ১৫৫ রান ছিল সিরিজের অন্যতম আকর্ষণ। ৮৫-এর স্ট্রাইক রেট এবং ২৩টি চার এবং একটি ছক্কার ইনিংসটি ব্যাটিং মাস্টারক্লাস ছিল। যদিও এটি ভারতকে জয় এনে দিতে পারেনি।

২০১১ সালে কেপটাউনে টেন্ডুলকারের আরও একটি সেঞ্চুরি ছিল, যা দলকে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ ড্র করতে সহায়তা করেছিল।

শচীন ভারতের হয়ে তার ক্যারিয়ার জুড়ে যা অবদান রেখেছে, তার প্রশংসা করেই মূলত সাবেক কিংবদন্তী পেসার ডোনাল্ড কথাগুলো বলেছেন।