মমিনুল ম্যাজিকে নামমাত্র লিড কিউইদের
আগের দিনের শেষ সেশনটা নিজেদের নামে লিখে তৃতীয় দিনেও শুরুটাও নিজেদের দখলে রাখতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে কিউই টেল এন্ডারদের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুটা বেশ ভালোই করেছে সফরকারীরা। ৪৪ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু করে ১৪ ওভার পর এগিয়ে যায় টিম সাউদির দল।
তবে তাদের বেশিক্ষণ স্বস্তিতে থাকতে দেননি স্বাগতিকদের পার্ট-টাইম স্পিনার মমিনুল হক। এক ওভারেই আগের দিনের অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটারকে ফেরান এই স্পিনার। ৭ রানের লিডে থেকে ৩১৭ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে নিউজিল্যান্ড।
প্রথম দিনে কিউই পার্ট-টাইম স্পিনার গ্লেন ফিলিপস ভুগিয়েছিল স্বাগতিকদের। এবার যেন ছিল স্বাগতিকদের ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। শেষ পর্যন্ত হলোও তেমনটাই। মমিনুলের প্রথম উইকেট সেই ফিলিপসেরই। পরের দুটি এলো আজ সকালে। ৩ ওভার ৫ বলে কেবল ৪ রানে তিন উইকেট তুলে নিলেন মমিনুল।
২৬৬ রান নিয়ে দিন শুরু করে কিউইরা। দ্রুতই ফিরবেন এমন আশঙ্কা করা হলেও জেমিসন-সাউদির ফিফটি পেরোনো জুটিতে তখন সফরকারীদের ৫ রানের লিড। এরপরই আরও একবার মমিনুল ম্যাজিক। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে জেমিসনকে (২৩) ফিরিয়ে ভাঙেন নবম উইকেটে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ৫২ রানের জুটি। সেই ওভারের পঞ্চম বলেই সাউদিকে করেন বোল্ড।
দ্বিতীয় দিনে নিজেদের ইনিংসের শুরুতেই কিছুটা আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল কিউইদের। তবে কিচ্ছুক্ষণ বাদের ম্যাচ দখলে নেয় স্বাগতিকরা। ৪৪ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কিউইরা। উইলিয়ামসন সেই সেই চাপ ভালোভাবে সামলে উঠলেও চা বিরতির আগেই তাকে ফেরাতে পারত নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে ভুলে ভরা দ্বিতীয় সেশনটি শেষ হয় মন্দের ভালো দিয়ে।
একাধিক সুযোগ পেয়ে সেটি কাজেও লাগিয়েছেন উইলিয়ামসন। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তবে দিন শেষের ১৩ বল আগেই সেই তাইজুলের বলেই বোল্ড হন কিউই এই তারকা ব্যাটার, যার ক্যাচ মিসে পেয়েছিলেন সুযোগ। সাজঘরে পাড়ি দেওয়ার আগে ২০৫ বলে ১১ চারের মারে দলীয় সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন উইলিয়ামসন। এছাড়া ড্যারিল মিচেল করেন ৪১ রান ও গ্লেন ফিলিপস করেন ৪২ রান।
৩৯ ওভারে ১০৯ রান খরচে স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন তাইজুল। নাঈম হাসান, শরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।