দাপুটে জয়ে সিরিজ সমতায় তরুণ টাইগাররা
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হার মেনেছিল টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াল তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ। লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। দুরন্ত জয়টা আসে ১৫ বল হাতে রেখেই।
দুর্দান্ত এ জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ এ সমতায় ফিরল টাইগাররা। প্রথম ম্যাচ জিতে নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
ঘূর্ণি জাদুতে ম্যাচসেরা মোসাদ্দেক হোসেন কাজের কাজটা আগেই করে রাখেন। জিম্বাবুয়েকে আটকে দেন অল্প পুঁজিতে। ফিফটি হাঁকিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন ওপেনার লিটন দাস (৫৬; ৩৩ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কা)।
দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন আফিফ হোসেন (৩০*)। এনামুল হক বিজয় করেন ১৬। নাজমুল হোসেন শান্ত এনে দেন ১৯ রান। ১৭.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য ১৩৬ রান ছুঁয়ে ফেলে ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান সোহানের বাহিনী।
জিম্বাবুয়ের হয়ে একটি করে উইকেট পান সিকান্দার রাজা, রিচার্ড এনগারাভা ও শন উইলিয়ামস।
তার আগে মোসাদ্দেক হোসেনের দুরন্ত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে ১৩৫ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য টাইগারদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৬ রান। লক্ষ্যটা আরও ছোটো হতে পারতো। কিন্তু মোসাদ্দেকের আগুনে বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখান সিকান্দার রাজা। আদায় করে নেন ফিফটি। তাতেই বেড়ে যায় স্বাগতিকদের পুঁজি।
বল হাতে শুরুতেই জ্বলে উঠেন মোসাদ্দেক হোসেন। উপহার দেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং পারফরম্যান্স। ইনিংস উদ্বোধন করে প্রথম বলেই শিকার করেন উইকেট। ওভারের শেষ বলেও পান উইকেট। পরে আর তিনটি উইকেট নেন তিনি । এ নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার করলেন মোসাদ্দেক।
মোসাদ্দেকের স্পিন বিষে ৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। পরে বিপর্যয় এড়িয়ে দলের হাল ধরেন সিকান্দার রাজা। ৫৩ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৬২ রানের দারুণ এক ইনিংস তিনি।
৩২ রান আসে রায়ান বার্লের ব্যাট থেকে। ১১ আসে লুক জংওয়ের ব্যাট থেকে। বাকি ব্যাটসম্যানরা থেকে যান সিঙ্গেল ডিজিটে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৩৫।
বাংলাদেশের হয়ে ২০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট একাই নেন মোসাদ্দেক হোসেন। একটি করে উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টস ভাগ্য কথা বলেনি বাংলাদেশের হয়ে। ফের টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। যে কারণে শুরুতে বল হাতে মাঠে নামে টাইগাররা।