আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার পথে হাঁটছে বিসিবি
আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনের জন্য বিসিবি'র গঠনতন্ত্র পরিবর্তন আনার প্রয়োজন ছিল। আজ মঙ্গলবার বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সেই কাজটি করে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।কাউন্সিলরদের সম্মতিক্রমে সংবিধান সংশোধন করে অবশেষে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার অনুমোদন দিয়েছে বিসিবি।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে চলতি বোর্ডের প্রথম এজিএম শেষে সংবাদ সম্মেলনে খবরটি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।
পাপন বলেন, ‘কন্সটিটিউশনাল অ্যামেন্ডমেন্ট (গঠনতন্ত্র সংশোধন) ছিল সেগুলো আমরা পেশ করেছিলাম, সবগুলোই সর্বসম্মতিক্রমে আমাদের এজিএমে পাশ হয়েছে। কন্সটিটিউশনাল অ্যামেন্ডমেন্টের মধ্যে একটা ছিল আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা, সেটা আজকে হয়ে গেল। আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা করতে এখন আর বাধা রইল না।’
দেশের ৮টি বিভাগ থাকলেও ময়মনসিংহকে ঢাকার সঙ্গে রেখে মোট ৭টি বিভাগে হবে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা। যেখানে কমিটি হবে দুই ধরনের। বড় বিভাগ অর্থাৎ যেখানে জেলার সংখ্যা বেশি, সেখানে ১৭ জন সদস্য আর যেখান জেলার সংখ্যা কম, সেখানে কমিটির সদস্য থাকবে ১১ জন।
ঢাকার সবগুলো ক্লাব সমান ভোটের অধিকার পাচ্ছে। নিয়ম পরিবর্তনের মাধ্যমে ঢাকা লিগ ছাড়াও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের সবগুলো ক্লাব ভোটের অধিকার পাচ্ছে।
বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স করার কারণে আইসিসিতে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে টাইগারদের, ‘অবশ্যই, আইসিসিতে বাংলাদেশকে এখন গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পেছনের কারণ বোর্ড না, পারফরম্যান্স। ক্রিকেট যেহেতু ভালো করছে, সেজন্যই সবাই আগ্রহ দেখাচ্ছে।’
২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) উইন্ডিজ ছাড়া বাকি সবার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। ৩৪ টেস্ট, ৫৯ ওয়ানডে এবং ৫১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। সব সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশের ম্যাচ ১৪৪টি।
অতীতে বাংলাদেশ কখনোই এতো ম্যাচ খেলেনি। এনিয়ে পাপন বলেন, ‘আগে সবাই আমাদের এখানে এসে খেলতে চাইত। তাদের দেশে নিতে চাইত না। ওরা ধরে নিত দর্শকরা বাংলাদেশের খেলা দেখবে না। এখন আমাদের এখানে আসতে চায় না, ওদের দেশে ডাকছে। এটা ইতিবাচক সংকেত। আমরাও শিখতে পারব, আমাদের জন্যও ভালো হবে। আমরা তো বাইরে গিয়ে এত খেলা খেলিনি।’