বাংলাদেশ থামল ৪৬৫ রানে, লিড ৬৮
লিটন দাস দুরন্ত ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যাটিং ঝলকে দেখিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির আভাস। তবে মধ্যাহ্নভোজ শেষে মাঠে নামতেই ছন্দ হারিয়ে ফেলেন তারকা এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েও শতক মিস করেছেন।
তবে ধৈর্য্যের পরীক্ষায় উতরে ঠিকই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। দুজনের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে সবগুলো উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৬৫ রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। এতেই টাইগাররা লিড নিয়েছে ৬৮ রানের।
কাসুন রাজিথার বলে উইকেটের পিছনে নিরোশান ডিকভেলার গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন লিটন। তারপরই ফের মাঠে নামেন তামিম ইকবাল। তারকা এ ওপেনার তৃতীয় দিন শেষে অপরাজিতই ছিলেন। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে চলে গিয়েছিলেন ড্রেসিংরুমে।
চতুর্থ দিন মধ্যাহ্নভোজ বিরতির মাঠে নামলেও মাত্র তিন বল মোকাবেলা করেন তামিম। ব্যক্তিগত ১৩৩ রানের আর কোনো রানই যোগ করতে পারেননি। ২১৮ রানে ১৫ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজিয়ে রাজিথার বলে বোল্ড হন দেশসেরা এ ওপেনার। বঞ্চিত হন ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ।
তৃতীয় দিনের শেষ ভাগটায় ব্যাটিংয়ে দাপট দেখিয়েছেন দুজনে। চতুর্থ দিনেও দ্যুতি ছড়ালেন তারা। ব্যাট হাতে মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি পেলেও লিটন দাস অসাধারণ দৃঢ়তা দেখিয়েও পুড়েছেন সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে।
জাদুকরী তিন অঙ্ক ছুঁলেও খুব বেশি দূর আগাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ২৮২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ১০৫ রানের দুর্বার এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলেনি লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার ঘূর্ণি জাদুতে হন পরাস্ত। টেস্টে এটি তার অষ্টম শতক। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির পর এটাই তার প্রথম শতক। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে পাঁচ হাজার রানের ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
আর লিটন ১৮৯ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৮৮ রান নিয়ে ফিরে গেছেন সাজঘরে। করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে মাঠে নামা সাকিব আল হাসান বল হাতে আলো ছড়ালে ব্যাট হাতে বড় ইনিংস উপহার দিতে পারলেন না। ৪৪ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৬ রান সংগ্রহ করে উইকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
শেষ দিকে অবশ্য ব্যাটিং ঝলক দেখিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। নিজের ইনিংসটা টেনে বড় করতে পারেননি। ৪৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে দলীয় স্কোরে যোগ করেন ২০ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে কাসুন রাজিথা চার উইকেট শিকার করেছেন। ২৪.১ ওভারে তিনি খরচ করেছেন ৬০ রান। ৩ উইকেট পেয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো। ২৬ ওভারে তার খরচ হয়েছে ৭২ রান। একটি করে উইকেট নেন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। দুজনে দেন যথাক্রমে ১০৪ ও ৪৮ রান।
তার আগে ৩ উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে মুশফিক ৫৩ ও লিটন ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এক রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেছেন লঙ্কান তারকা অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা সবকটি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ৩৯৭ রান।
চতুর্থ দিনের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৩৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সফরকারীরা। ফিরে গেছেন ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো (১৯) ও নাইট ওয়াচম্যান লাসিথ এমবুলদেনিয়া (২)। ১৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে আছেন ক্যাপ্টেন দিমুথ করুণারত্নে। এতে জয়ের স্বপ্ন বুনছে টাইগাররা।