খরুচে মুস্তাফিজ, আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, হারল দিল্লি
আইপিএলে আরও একটি খারাপ দিযন কাটালেন মুস্তাফিজুর রহমান। বল হাতে সুবিধা করে উঠতে পারলেন না এ তারকা পেসার।
ফিজ একটি উইকেট পেলেও রান খরচ করলেন অনেক। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের দিলেন ৪৩ রান। শুধু মুস্তাফিজ নয়। দিল্লি ক্যাম্পিটালসের বাকি বোলাররাও খেয়েছেন মার।
দিল্লির খরুচে বোলিংয়ের কারণে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজস্থান রয়্যালস জস বাটলারের সেঞ্চুরিতে ২ উইকেট হারিয়ে গড়ে ২২২ রানের পাহাড়সম পুঁজি।
জবাবে লক্ষ্যের কাছাকাছি গেলেও আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজের দিল্লি (২০৭/৮) হার মানে ১৫ রানে।
শেষ ওভারে দিল্লির দরকার ছিল ৩৬ রান। ওবেড ম্যাককয়ের প্রথম তিন বলেই ছক্কা হাঁকান রভম্যান পাওয়েল। তাদের সামনে তখন জয়ের হাতছানি। কিন্তু ওভারের তৃতীয় বল নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
ম্যাককয়ের কোমরের ওপরের ফুলটস বল ছক্কা মারলেও নো বল দেননি আম্পায়ার। নো বলের আবেদন করলেও আম্পায়ার সেটা মানেননি। দিল্লির ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের অনুরোধের পরও থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য নিতেও রাজি হননি মাঠের আম্পায়ার।
রেগে গিয়ে দিল্লির অধিনায়ক রিশব পান্ত ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যানদের মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন। ব্যাটসম্যান রভম্যান পাওয়েল ও কুলদীপ যাদব মাঠ ছাড়তে চাইলে আম্পায়াররা তাদের বাধা দেন। কথা বলতে মাঠে ঢুকেন সহকারী কোচ প্রবীণ আমরে। কিন্তু লাভ হয়নি। সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন আম্পায়াররা। খেলা থেকে মনোযোগ হারিয়ে ম্যাচই হেরে যায় দিল্লি। পরের তিন বল থেকে আসে মাত্র দুই রান।
আম্পায়ারদের এমন নাটুকে কাণ্ডের পর ম্যাচ ফি'র শতভাগ জরিমানা গুনেছেন ক্যাপ্টেন পান্ত ও সহকারী কোচ প্রবীণ আমরে। সঙ্গে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন আমরে। আর আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করায় ম্যাচ ফি'র ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে শার্দুল ঠাকুরকে।