শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট, বাংলাদেশ এইচপি টিমের সফর বাতিল
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে দিশেহারা শ্রীলঙ্কার সাধারণ জনগণ। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রীর তীব্র অভাবটা কিছুতেই কাটছে না দ্বীপদেশটি। প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছে মানুষ।
শ্রীলঙ্কার সেই সংকটের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটেও। বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। মাঠ সংকটের কারণে আয়ারল্যান্ড সফরেও যাওয়া হচ্ছে না এইচপি টিমে।
সফর নিয়ে এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘আমাদের দুটি বিদেশ সফর ছিল- একটি আয়ারল্যান্ড, আরেকটি শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার অবস্থা আপনারা সবাই জানেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তারা এই সফর আয়োজন করতে পারছে না। সেটা স্বীকার করেছে। আয়ারল্যান্ডের সমস্যা হল ওদের মাঠে সংখ্যা খুব কম। করোনার কারণে জাতীয় দলের যা কিছু করতে পারেনি সেগুলোই এখন করতে চাচ্ছে। তাই ওরাও আমাদের আতিথেয়তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।’
বিকল্প সফরের কথা চিন্তা করছে বিসিবি। এ নিয়ে দুর্জয় বলেন, ‘আমরা অন্যত্র চেষ্টা করছি। সিরিজ খেলতে না পারলেও যেন ভিন্ন কন্ডিশনে গিয়ে ক্যাম্প করা যায় সেই চেষ্টা করছি। এখানে আইসিসির হস্তক্ষেপের কিছু নেই। এটা দুই বোর্ডের আলোচনা। কোনো বোর্ড অপারগ হলে তো চাপ দিতে পারি না। ওরা কিন্তু বাতিল করে দেয়নি, স্থগিত করেছে, অর্থাৎ এ মুহূর্তে পারছে না।’
সংকটের প্রভাব জাতীয় দলের সিরিজের ওপরও পড়তে পারে সেই আশঙ্কার কথাই জানালেন বিসিবি পরিচালক দুর্জয়, ‘প্রভাব পড়া খুবই স্বাভাবিক। একটা দেশে যদি চলাচল না করা যায়, খাবারের সংকট থাকে, বিদ্যুৎ নেই এটাও একটা বড় ইস্যু। কী হবে এটা এখনও বলা যাচ্ছে না। জাতীয় দলের কথা বলতে পারব না। তারপরও একটা প্রভাব পড়ার শঙ্কা তো আছেই।’
সম্ভব হলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের পাশে দাঁড়াবে বিসিবি। দুর্জয় বলেন, ‘আগে যেহেতু করেছি, ভবিষ্যতেও করতে পারি। কিন্তু এখন ওদের যে অবস্থা, আসলে বোর্ডের পক্ষে পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না। ওরা এখন সরকারের কাছ থেকে সহায়তা চাচ্ছে। সেটা আরও অনেক বড় ব্যাপার। তবে হয়ত ক্রিকেটের ব্যাপারে আমরা করতে পারি। বাকিটা ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ বললে ভালো।’