বাজে আম্পায়ারিং-স্লেজিংয়ের অভিযোগ নিয়ে আইসিসি'র দ্বারস্থ বিসিবি
ডারবান টেস্টে বিতর্কিত আম্পায়ারিং নিয়ে মনক্ষুণ্ন বাংলাদেশ। এনিয়ে অভিযোগ করেছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, নির্বাচক হাবিবুল বাশার ও অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার সীমা অতিক্রম করা স্লেজিং। দুটি অভিযোগ নিয়েই আইসিসির দ্বারস্থ হতে যাচ্ছে বিসিবি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকা ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বোর্ড পরিচালক ইউনুস বলেন, ‘ওয়ানডে সিরিজ শেষে আম্পায়ারিং নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাদের ম্যানেজার নাফীস ইকবালের সঙ্গে শুরুর দিকে বাজে আচরণ করেছিল ম্যাচ রেফারি কিন্তু যখন আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম তখন সে নরম হয়েছিল। এবার এই টেস্ট ম্যাচ নিয়ে আরেকটি অফিসিয়াল অভিযোগ দিব।’
মাত্রাছাড়া স্লেজিংয়ের সঙ্গে চতুর্থ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে বাজে আম্পায়ারিং সিদ্ধান্ত বিতর্ক ছড়িয়েছে। প্রথম দুই সেশনে আম্পায়ারিং ছিল খুবই দৃষ্টিকটু। আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বেশিরভাগই গেছে টাইগারদের বিপক্ষে। এজন্য দুই ফিল্ড আম্পায়ার ম্যারাইস এরাসমাস ও আড্রিয়ান হোল্ডস্টকের বিরুদ্ধে আইসিসি'র কাছে অভিযোগ করবে বিসিবি।
ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক বলেন, ‘ক্রিকেট মাঠে স্লেজিং সব সময় হয়। স্লেজিং হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু স্লেজিং যখন গালাগালির পর্যায়ে চলে যায়, এটা খুব খারাপ। আমার মনে হয়েছে, মাঝেমধ্যে ওরা গালাগালি করছিল, খুব বাজেভাবে। যেটা আম্পায়ার ওইভাবে খেয়াল করেননি। আমার মনে হয়, আইসিসির উচিত, এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং আবার ফিরিয়ে আনা উচিত। কোভিডের আগে যেমন ছিল, তেমন।’
সাকিবের মতো নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফিরিয়ে আনার দাবী তুলে জালাল ইউনুস বলেন, ‘অবশ্যই দুই দলের দিক থেকেই স্লেজিং হয়েছে, তবে তারা শুরু করেছিল এটি। আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগও করেছি আমরা। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নিতে হবে, কিন্তু অবশ্যই নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফিরিয়ে আনা উচিত আইসিসির।’