ব্যাটিং লড়াইয়ে বিপদে টাইগাররা
দ্বিতীয় দিনে বোলিং পারফরম্যান্সটা ভালোই ছিল টাইগারদের। কিন্তু ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। দলীয় ২৫ রানে ফিরে যান ওপেনার সাদমান ইসলাম। আঘাত হানেন সাইমন হার্মার। দলের বিপদ কাটিয়ে উঠতে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হাসান শান্ত। ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে তোলেন ৫৫ রানের পার্টনারশিপ। তবে বিপদ কাটেনি।
তবে শান্ত বেশি দূর আগাতে পারেননি। ফের জ্বলে উঠেন সাইমন হার্মার। ওয়ানডাউনে নেমে ৮৭ বলে ২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানেই ফিরে গেছেন সাজঘরে। শান্ত ফিরলেও ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন জয় ১৪১ বলে ৪ বাউন্ডারি ৪৪* ইনিংস খেলে অপরাজিত রয়ে গেছেন। অন্য প্রান্তে উইকেট পড়েছে নিয়মিত। স্পিন ভেলকি দেখাতে থাকেন সাইমন হার্মার। ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক বিদায় নেন শূন্য রানে। আর মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৭ রান। দুজনের বিদায়ে অস্বস্তিতে রয়েছে পুরো দল।
জয় আর শান্তর ব্যাটিং দৃঢ়তার ওপর ভর করে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে কোনোমতে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯ ওভারে প্রথম ইনিংসে ৯৮ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের হয়ে একাই চারটি উইকেট শিকার করেছেন সাইমন হার্মার।
বল হাতে প্রথম দিনের শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে আসেনি কোনো উইকেট। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে খানিকটা ভালো হয়েছিল। তাতেই প্রতিপক্ষের উইকেট পড়ে তিনটি। তবে শেষ সেশনে বোলিংয়ে ঠিক ধার ছিল না। দিনশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা উইকেট হারায় মাত্র চারটি।
তবে দ্বিতীয় দিনে ডারবানের কিংসমিডে টাইগারদের বোলিং পারফরম্যান্স হলো দারুণ। প্রথম সেশনেই পেস ঝড় তোলেন খালেদ আহমেদ। তুলে নেন তিন উইকেট। পুরো প্রথম দিনে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা পায় চার উইকেট। আর দ্বিতীয় দিনে সকালের সেশনেই অতিথিরা পায় চার উইকেট। দাপুটে বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস ৩০০ রানেই গুটিয়ে দেওয়ার আভাস দিয়েছিলেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। কিন্তু শেষ দিকে সাইমন হার্মারের ব্যটিং দৃঢ়তায় সফরকারীদের সেই আশা গুঁড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা। তার ব্যাটিং ঝলকের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংস ৩৬৭ রানে। দ্বিতীয় দিনে বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে তারা দলীয় স্কোরে যোগ করে ১৩৪ রান।
বাংলাদেশের জার্সি গায়ে একাই ৪ উইকেট শিকার করেন খালেদ আহমেদ। তিনটি উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই উইকেট যায় এবাদত হোসেনের পকেটে।
তার আগে ৪ উইকেটে ২৩৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ক্যাপ্টেন ডিন এলগারের দল। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান কাইল ভেরেইন নিজের ২৭ রানের ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। ব্যক্তিগত স্কোরে এক রান যোগ করেই খালেদ আহমেদের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে আগের দিনের অন্য অপরাজিত ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমা ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রেখে ঠিকই ব্যাটিং লড়াইটা একাই চালিয়ে যান। দুর্বার ব্যাটিংয়ে আভাস দেন সেঞ্চুরির। কিন্তু জাদুকরী তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি তার।
বাভুমা নার্ভাস নাইনটিতে বিদায় নেন মাঠ থেকে। ঘূর্ণি জাদুতে তার উইকেট ভেঙে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফেরার আগে ১৯০ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ৯৩ রানের দুরন্ত এক ইনিংস উপহার দিয়ে যান বাভুমা। শেষ দিকে ৩৮* ছোট্ট অথচ কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন অপরাজিত থেকে যান হার্মার।