দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস থামল ৩৬৭ রানে
বল হাতে প্রথম দিনের শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে আসেনি কোনো উইকেট। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে খানিকটা ভালো হয়েছিল। তাতেই প্রতিপক্ষের উইকেট পড়ে তিনটি। তবে শেষ সেশনে বোলিংয়ে ঠিক ধার ছিল না। দিনশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা উইকেট হারায় মাত্র চারটি।
তবে দ্বিতীয় দিনে ডারবানের কিংসমিডে টাইগারদের বোলিং পারফরম্যান্স হলো দারুণ। প্রথম সেশনেই পেস ঝড় তোলেন খালেদ আহমেদ। তুলে নেন তিন উইকেট। পুরো প্রথম দিনে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা পায় চার উইকেট। দ্বিতীয় দিনে সকালের সেশনেই অতিথিরা পায় চার উইকেট। দাপুটে বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস ৩০০ রানেই গুটিয়ে দেওয়ার আভাস দিয়েছিলেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। কিন্তু শেষ দিকে সাইমন হার্মারের ব্যটিং দৃঢ়তায় সফরকারীদের সেই আশা গুঁড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা। তার ব্যাটিং ঝলকের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংস ৩৬৭ রানে। দ্বিতীয় দিনে বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে তারা দলীয় স্কোরে যোগ করে ১৩৪ রান।
বাংলাদেরে জার্সি গায়ে একাই ৪ উইকেট শিকার করেন খালেদ আহমেদ। তিনটি উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই উইকেট যায় এবাদত হোসেনের পকেটে।
তার আগে ৪ উইকেটে ২৩৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ক্যাপ্টেন ডিন এলগারের দল। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান কাইল ভেরেইন নিজের ২৭ রানের ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। ব্যক্তিগত স্কোরে এক রান যোগ করেই খালেদ আহমেদের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে আগের দিনের অন্য অপরাজিত ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমা ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রেখে ঠিকই ব্যাটিং লড়াইটা একাই চালিয়ে যান। দুর্বার ব্যাটিংয়ে আভাস দেন সেঞ্চুরির। কিন্তু জাদুকরী তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি তার।
বাভুমা নার্ভাস নাইনটিতে বিদায় নেন মাঠ থেকে। ঘূর্ণি জাদুতে তার উইকেট ভেঙে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফেরার আগে ১৯০ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ৯৩ রানের দুরন্ত এক ইনিংস উপহার দিয়ে যান বাভুমা। শেষ দিকে ৩৮* ছোট্ট অথচ কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন অপরাজিত থেকে যান হার্মার।