তাসকিনের আগুনে বোলিং, সিরিজ জিততে টাইগারদের দরকার ১৫৫
আগুন ঝরা একটিন দিনই কাটাল বাংলাদেশের বোলাররা। বিধ্বংসী বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরু থেকে শুধু চাপেই রাখেনি টাইগাররা। বোলিং তোপে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন তারা। যার শুরুটা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। হঠাৎ বল হাতে জ্বলে উঠেন দুরন্ত ফর্মে থাকা এ স্টার ক্রিকেটার। ঘূর্ণি জাদুতে কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়ে ব্রেকধ্রু এনে দেন তারকা এ অলরাউন্ডার। পরে বোলিং আক্রমণের হাল ধরেন তাসকিন আহমেদ। বল হাতে রীতিমতো তুলে ফেলেন ঝড়। একাই পাঁচ উউকেট শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং-লাইন আপে নামিয়ে দেন ধস। পরে তাসকিন-মিরাজের সঙ্গে যোগ দেন শরিফুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান। লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের ধ্বংসাত্মক বোলিংয়ে ব্যাটিং ধস সামলে উঠতে না পেরে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৭ ওভারে ১৫৪ রানের পুঁজি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে প্রোটিয়াদের শুরুটা ছিল দারুণ। দুরন্ত ব্যাটিংয়েরই আভাস দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডি কক দেখে শুনে খেলতে থাকেন। ব্যাটিং ঝলকে দেন বড় সংগ্রহের আভাস। কিন্তু টাইগারদের বোলিং তোপে সেই ধারাটা ধরে রাখতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ধসে পড়তে থাকে তাদের ব্যাটিং লাইন-আপ।
প্রথম ওয়ানডে নিজেদের করে নিয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে নেয় স্বাগতিক প্রোটিয়ারা। ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এখন ১-১ এ সমতা চলছে। তাই আজ যারা জিতবে তারাই হাসবে শেষ হাসি। সিরিজ ট্রফি উঠবে তাদের হাতেই। ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জিততে টাইগারদের দরকার ১৫৫ রান।
টাইগারদের বোলিং তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারেননি প্রোটিয়ারা। দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার জানেমান মালান। ২৮ রান আসে কেশব মহারাজের ব্যাট থেকে। দলীয় স্কোরে ২০ রান যোগ করেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। তাদের সঙ্গে ডেভিড মিলার ১৬ ও কুইন্টন ডি কক ১২ রান এনে দেন। বাকি ব্যাটসম্যানরা থেকে যান সিঙ্গেল ডিজিটে।
বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ৩৫ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ। এনিয়ে একদিনের ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়লেন তারকা এ পেসার। তবে এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছিলেন তাসকিন। তার বোলিং ফিগার ছিল ৫/২৮। তার সঙ্গে দুটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। একটি করে উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম।