তৃতীয় ওয়ানডে খেলেই পরিবারের কাছে ফিরবেন সাকিব
সাকিব আল হাসানের মা শিরিন আক্তার, তার শাশুড়ি ও তিন সন্তান ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি। পরিবারের পাঁচজন সদস্য চিকিৎসাধীন। স্বাভাবিকভাবে মন ভালো নেই বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের। জীবনের এই কঠিন সময়েও দক্ষিণ আফ্রিকায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে খেলে তবেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তার আগে অবশ্য পরিবারের পাশে থাকতে গতকাল রাতেই ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাকিব। পরে সিদ্ধান্ত পাল্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় থেকে গেছেন। ওয়ানডে সিরিজ শেষ করেই ঢাকায় আসবেন। আসলে সাকিব নিজেই দোটানায় পড়ে গিয়েছিলেন। সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না ঠিক কী করবেন? দলের সঙ্গে থাকবেন নাকি দেশে থাকা পরিবারের কাছে ফিরবেন।
যে কারণে বিসিবি কর্তা-ব্যক্তিরাও ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন সাকিব সিদ্ধান্তটা। তাই ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস তো বলেই দিয়েছিলেন, আজ রাতেই ঢাকার ফ্লাইট ধরছেন সাকিব। ফিরে আসছেন ঢাকায়। খানিক বাদে সিদ্ধান্ত পাল্টান সাকিব নিজেই। আসার সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে থেকে যান।
সাকিবের দেশে ফেরার বিষয়টি পরিষ্কার করেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘একটা মেডিকেল ইমারজেন্সি আছে, ওর (সাকিব) ফ্যামিলির অনেকে অসুস্থ। যে কারণে ওর মনে একটা দ্বিধা দ্বন্দ্ব তো আছেই। বারবার ঢাকা থেকে, ওর ফ্যামিলি থেকে কথা হচ্ছে যাওয়ার ব্যাপারে। ওর জন্য টিকেট আমাদের প্রায়ই বুক করতে হচ্ছে। আজকে ওর চলে যাওয়ার একটা কথা হচ্ছিল। তবে সাকিবই যাবে না, ও খেলে যাবে। হি ইজ প্লেয়িং।’
সাকিবের তৃতীয় ওয়ানডে খেলার প্রসঙ্গে বিসিবি’র পরিচালক সুজন বলেন, ‘একটা সত্যি কথা, তার যাওয়ার কথা ছিল। বিসিবি থেকে জালাল (ইউনুস) ভাই হয়তো বলেও দিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পর সাকিব সিদ্ধান্ত নেয় যে যাবে না। খেলেই যাবে। এখন সাকিব যাচ্ছে না। হয়তো বা তৃতীয় ওয়ানডে খেলেই যাওয়ার একটা চিন্তা ভাবনা করবে।’
নিউমোনিয়ায় ভুগছেন সাকিবের ছেলে আইজাহ আল হাসান ও মেজো মেয়ে ইরাম হাসান। আর বড় মেয়ে আলাইনা হাসান ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত।
সাকিবের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মা হৃদরোগে ভুগছেন। হঠাৎ করে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি।
জানা গেছে, সাকিবের শাশুড়ি ক্যান্সারে আক্রান্ত। তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)।