বাবর-রিজওয়ানের ব্যাটিং দাপটে পাকিস্তানের মহাকাব্যিক ড্র
পাকিস্তানের লক্ষ্যটা ছিল হিমালয়সম। তবু একটুও দমেনি স্বাগতিকরা। পঞ্চম দিনে এসে চতুর্থ ইনিংসে ৫০৬ রানের স্কোর ছোঁয়ার জন্য দুরন্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্স উপহার দিলেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আব্দুল্লাহ শফিক।
ত্রয়ীর ব্যাটিং বীরত্বে পাকিস্তান জয় হয়তো পায়নি। তবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় টেস্টে যে ড্র ছিনিয়ে নিয়েছে। সেটার মূল্য জয়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। পাকিস্তান যে পেয়েছে মহাকাব্যিক এক ড্র।
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এখন ০-০ তে সমতা বিরাজ করছে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টও ড্র করেছিল পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া।
করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে চার রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেন বাবর।অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৪২৫ বলে ২১ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১৯৬ রানের দুর্বার এক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা বনে যান পাকিস্তান ক্যাপ্টেন। আব্দুল্লাহ শফিকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে বাবর গড়েন ২২৮ রানের (৫২৪ বলে) পার্টনারশিপ। পঞ্চম উইকেটে বাবর-রিজওয়ানের জুটি ছিল ১১৫ রান (২৪৮ বলে)।
মোহাম্মদ রিজওয়ান শতক হাঁকিয়ে অপরাজিত থেকে যান। ১৭৭ বলে ১১ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১০৪* রানের হার না মানা দুরন্ত এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। রিজওয়ান সেঞ্চুরি পেলেও জাদুকরী তিন অঙ্ক থেকে বঞ্চিত হন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। চার রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শফিকের ব্যাট থেকে আসে ৩০৫ বলে ৬ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৯৬ রানের দারুণ এক ইনিংস।
পাকিস্তান জয়ের কাছাকাছি প্রায় পৌঁছেই গিয়ে ছিল। মাত্র ৬৩ রান দূরে থেকে ড্র মেনে নেয় তারা। পাকিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪৩ রান তুলতেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। ম্যারাথন ইনিংসে পাকিস্তান ব্যাট করেছে ১৭১.৪ ওভার। তবে ম্যাচের ফল থেকে যায় অমীমাংসিত।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নাথান লায়ন একাই শিকার করেন চার উইকেট। দুটি উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। একটি উইকেট পান ক্যামেরুন গ্রীন।
অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে ৫৫৬ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। অতিথি অজিরা ২ উইকেটে ৯৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে।