পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েদের ঐতিহাসিক জয়
বিশ্বকাপে নিজেদের অভিষেক আসরটা জয়ে শুরু করতে চেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ধরা দেয়নি জয়। দ্বিতীয় ম্যাচেও হারের তেতো স্বাদ হজম করতে হয়। অবশেষে তৃতীয় ম্যাচে আসলো ঐতিহাসিক জয়। ফারজানা হকের দাপুটে ব্যাটিং আর ফাহিমা খাতুনের ম্যাচসেরা বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ৯ রানে হারিয়ে বহুল কাঙ্ক্ষিত প্রথম জয় তুলে নিয়েছে নিগার সুলতানারা।
দেশের ছেলে ক্রিকেটাররাও নিজেদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের অভিষেক আসরে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল। একই কীর্তি গড়ল দেশের মেয়েরাও।
হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে টস হেরে ব্যাট হাতে নেমে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে ওপেনার শারমিন আক্তার ৬ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন। ৪৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
পরে ওয়ানডাউনে নামা ফারজানা হক ঠিকই হাঁকান দুরন্ত এক ফিফটি। ১১৫ বলে ৫ বাউন্ডারিতে খেলেন ৭১ রানের দাপুটে এক ইনিংস। তৃতীয় উইকেটে নিগার সুলতানার সঙ্গে ১২৪ বলে গড়েন ৯৬ রানের পার্টনারশিপ।
আর নিগার সুলতানা খেলেন অধিনায়কোচিত দারুণ এক ইনিংস। তবে চার রানের জন্য অর্ধ-শতক মিস করেন তিনি। দলীয় স্কোরে যোগ করেন ৪৬ রান। ত্রয়ীর ব্যাটিং দৃঢ়তায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের মেয়েদে হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন নাশরা সান্ধু। একটি করে উইকেট পান ফাতিমা সানা, নিদা দার ও ওমাইমা সোহাইল।
জবাবে সিদরা আমিনের সেঞ্চুরিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে প্রায় পৌঁছেই গিয়ে ছিল পাকিস্তান। ফাহিমা খাতুন ও রোমানা আহমেদের দুরন্ত বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ২২৫ রানে গুটিয়ে যায় বই বিসমাহ মারুফের দল।
১৪০ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ১০৪ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন সিদরা আমিন। নাহিদা খান এনে দেন ৪৩ রান। বিসমাহ মারুফ দলীয় স্কোরে যোগ করেন ৩১ রান।
বাংলাদেশের হয়ে একাই তিন উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হন ফাহিমা খাতুন। দুটি উইকেট নেন রুমানা আহমেদ। একটি করে উইকেট পান জাহানারা আলম ও সালমা খাতুন।