ছুটি কাটিয়ে সাকিব খেলবেন ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই
সাকিব আল হাসান বিসিবি'কে আগেই জানিয়েছিলেন আগামী নভেম্বর পর্যন্ত টেস্ট খেলতে চান না। পরে মানসিক অবসাদের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে সরে দাঁড়ান বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
পরে সাকিবকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ক্রিকেটের তিন সংস্করণ থেকেই ছুটিতে পাঠিয়েছে বিসিবি। কিন্তু তারপরও তিন সংস্করণের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেই সাকিবকে রেখেছে বিসিবি। এ নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। কেন তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা হলো সাকিবকে?
আজ শুক্রবার মিরপুরে সাকিবকে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখার ব্যাখ্যা দিয়েছেন দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও আব্দুর রাজ্জাক। দুজনে কথা বলেছেন সাকিবের হয়ে।
ছুটি কাটানোর পর ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই খেলবেন সাকিব। আগামী এক বছর সাকিবের কাছ থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স চায় বোর্ড। প্রধান নির্বাচক নান্নু জানালেন সেই আশাবাদের কথা, ‘ও (সাকিব) ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্রাম নিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে। তারপর থেকে ও এভেইলেবল। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী তিন ফরম্যাটের জন্যই ও এভেইলেবল আছে। সাকিব অনেক বড় মাপের খেলোয়াড়। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের একজন। ওর কাছে সবসময় সেরাটাই আমরা চাই। সেজন্য তাকে তিন ফরম্যাটেই রাখা হয়েছে। যেহেতু এ বছর আমাদের অনেক খেলা আছে। আগামী এক বছর আমরা সাকিবের কাছ থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স চাচ্ছি।’
নান্নু আরও যোগ করেন, দলের সেরা খেলোয়াড় সাকিবকে বোর্ড সবসময়ই তিন ফরম্যাটে চায়, ‘আমরা প্রায় এক মাস আগে এই তালিকা জমা দিয়েছি। সাকিব আসলে অবশ্যই কথা বলব। ২০২২ সালে তিন ফরম্যাটেই অনেক খেলা আছে। সে হিসাবে আমাদের অনেক খেলোয়াড় লাগবে। সেরা খেলোয়াড়কে আমরা সবসময়ই তিন ফরম্যাটে চাই। আশা করছি রিফ্রেশ হয়ে ফিরে এসে তিন ফরম্যাটেই খেলবে।’
প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন নির্বাচক রাজ্জাক। গণমাধ্যমকে উল্টো প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আমাদের জায়গায় আপনারা থাকলে কী করতেন?
পরে নিজেকে সামলে নিয়ে রাজ্জাক বলেন, সাকিব নিজে কোনো সংস্করণ থেকে সরে না গেলে বোর্ড থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন। আর সাকিব কোনো সংস্করণ ছাড়েওনি, ‘৬ মাসের (টেস্ট থেকে) ছুটির যে কথা বলছেন তা আনুষ্ঠানিক কিছু না। যেহেতু আনুষ্ঠানিকতা নেই, কেউ দুইটা সিরিজ বিশ্রাম নিলে তাকে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা যাবে না এটা না। এখানে সিস্টেম হলো- বোর্ড প্রথমে কথা বলেছে কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। তারপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাকিব কিন্তু কোনো ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি। সাকিব এই মাপের খেলোয়াড় যে নিজে থেকে কোনো ফরম্যাট থেকে সরে না গেলে ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন।’
সাকিবকে তিন সংস্করণে রাখা হলেও তামিম ইকবালকে কেন শুধু টেস্ট ও ওয়ানডেতে রাখা হয়েছে? উত্তরে নান্নু বলেন, ‘এখানে একটা সিস্টেম আছে- যে যে ফরম্যাটে অফ আছে এখন, তামিম যদি ঐ ফরম্যাটে দলে অন্তর্ভুক্ত হয় সেও বেতনের আওতায় চলে আসে। এখানে আক্ষেপের কিছু নেই। তামিম ৬ মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে অন্তর্ভুক্ত হলে অবশ্যই বেতনভূক্তদের তালিকায় ঢুকে যাবে।’