লিটন-মুশফিকের ঝলকে টাইগারদের সংগ্রহ ৩০৬
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দিনটি ছিল বড়ই অপয়া। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই কেটে গেল সেই দুর্ভাগ্যটা। দুরন্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি দেখা পেয়েছেন লিটন দাস। তার ব্যাটিং পার্টনার মুশফিকুর রহিম পেয়েছেন ফিফটির দেখা। দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবের ওপর ভর করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রানের বিশাল পুঁজি গড়েছে তামিম ইকবালের দল।
ব্যাট হাতে মাঠে নেমে টাইগারদের শুরুটা ছিল দারুণ। ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রেখে লিটন ব্যাট করে গেলেও তামিম ইকবাল ফেরেন একটু আগে ভাগেই। দেশসেরা এ ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১২ রান।
তামিম বিদায় নিলেও লিটনকে সঙ্গ দিতে থাকেন সাকিব আল হাসান। তবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার নিজের হাতের ব্যাটটা হাসাতে পারেননি ঠিক মনমতো। দারুণ শুরুর আভাস দিয়েও ২০ রানেই থামতে হয় এ ক্রিকেট সুপারস্টারকে।
তামিম-সাকিব সাজঘরের পথ ধরলেও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিটন দাস ব্যাটিং ঝলক দেখিয়ে যান। পরে ব্যাটিং জাদু নিয়ে হাজির হন মুশফিকুর রহিম। ১২৬ বলে লিটন খেলেন ১৩৬ রানের চমৎকার এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। তার এ দুর্বার ব্যাটিং অভিযানে ছিল ১৬ চার ও ২ ওভার বাউন্ডারির মার।
অন্য দিকে সেঞ্চুরির আভাস দিয়েও মুশফিকুর রহিম পাননি জাদুকরী তিন অঙ্কের দেখা। তারকা এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ৮৬ রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংসে। ৯৩ বলের এই দুর্দান্ত ইনিংস সাজান তিনি মন ভোলানো ৯ বাউন্ডারিতে। দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ১৮৬ বলে গড়েন ২০২ রানের অনন্য এক পার্টনারশিপ।
পরপর দুই বলে লিটন-মুশফিক দুজনকে ফিরিয়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের রানের গতিটা কমিয়ে দেন ফরিদ আহমেদ। নিলে দলীয় স্কোরটা আরও বড় হতে পারতো। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৬*) ও আফিফ হোসেন (১৩*) অপরাজিত থেকে যান। শেষের ৩.৩ ওভারে আসে মাত্র ২১ রান।
আফগানিস্তানের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন ফরিদ আহমেদ। আর একটি করে উইকেট পান ফজলহক ফারুকী ও রশিদ খান।