ইনগ্রামের শতক মিস, সিলেট বঞ্চিত জয় থেকে
মুনিম শাহরিয়ার ও ক্রিস গেইলের সঙ্গে হাসল সাকিব আল হাসান ও ডোয়াইন ব্রাভোর ব্যাট। তাতেই ফরচুন বরিশাল গড়ল বানের পাহাড়। কলিন ইনগ্রামের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে রানের সেই পাহাড় টপকানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল সিলেট সানরাইজার্স। কিন্তু সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শেষ হাসি হাসল বরিশালই। এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে ম্যাচসেরা হলেন সাকিব।
কলিন ইনগ্রাম দিয়েছিলেন সেঞ্চুরির আভাস। সঙ্গে তার দল সিলেট সানরাইজার্সের সামনে ছিল জয়ের হাতছানি। ইনগ্রামের শতক আর সিলেটের জয়ের সম্ভাবনা কোনোটাই আলোর মুখ দেখতে পায়নি। রান উৎসবের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের কাছে ১২ রানে হার মেনেছে সিলেট।
টস হেরে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী হয়ে উঠেন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। তার সঙ্গে ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখান ক্রিস গেইল। ৫১ রান নিয়ে (২৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়) শাহরিয়ার সাজঘরে ফিরলেও সমান ৫১* রানে (৪৫ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়) অপরাজিত থেকে যান ক্যারিবিয়ান হার্ড হিটার গেইল।
সাকিব খেলেন ৩৮ রানের (১৯ বলে ২ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায়) দুরন্ত এক ইনিংস। আর ডোয়াইন ব্রাভো অপরাজিত থেকে যান ৩৪* রানে (১৩ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায়)। তাতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে বরিশাল।
সিলেটের হয়ে একটি করে উইকেট নেন সোহাগ গাজী, একেএস স্বাধীন, আলাউদ্দিন বাবু ও নাজমুল ইসলাম।
বরিশালের বোলারদের পিটিয়ে একটু একটু করে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কলিন ইনগ্রাম। আর দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের বন্দরে। কিন্তু প্রোটিয়া এ ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ডোয়াইন ব্রাভোর হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তাকে। তার বিদায়েই মূলত জয়ের পথ থেকে ছিটকে যায় সিলেট। ৪৯ বলে ১৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৯০ রানের দুর্বার এক ইনিংস খেলেন ইনগ্রাম।
সঙ্গে মোসাদ্দেক হোসেন ৩৪ এবং আলাউদ্দিন বাবু ২২* রান যোগ করেন দলীয় স্কোরে। ১৯ রান আসে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে। ফলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রানেই থেমে যায় সিলেটের ব্যাটিং লড়াই।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, ডোয়াইন ব্রাভো ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
৯ ম্যাচে ছয় জয় আর এক হারে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে রয়েছে এখন সাকিবের বরিশাল। আর আট ম্যাচে এক জয় ও ছয় হারে তিন পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তলানিতে রয়ে গেছে সিলেট।