মিরাজের প্রথম জয়, রিয়াদের টানা দ্বিতীয় হার
লক্ষ্যটা ছিল প্রথম জয় ছিনিয়ে নেওয়ার। স্বপ্নটা সত্যি হওয়ার আভাসও মিলেছিল। তামিম ইকবাল হাঁকালেন দারুণ এক ফিফটি। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানটা লিখলেন ব্যর্থতার গল্প। ফলে ফল যা হওয়ার তাই হলো। ম্যাচসেরা নাসুম আহমেদের কিপ্টেমি বোলিংয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৩০ রানে হার মানল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। এনিয়ে টানা দুই ম্যাচে ধরাশায়ী হলো ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। আর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের দল পেল প্রথম জয়।
এবারের বিপিএলে এই প্রথম পরে ব্যাটিং করা দল হারের তেতো স্বাদ হজম করল। এর আগে টস জিতে বোলিং বেছে নেয়া তিন দলই জয়ের দেখা পেয়েছে। দ্বিতীয় দিনে এসে পেল না শুধু ঢাকা।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে টানা দুই ম্যাচে অর্ধ-শতকের দেখা পেলেন তামিম। দেশসেরা এ ওপেনার ৪৫ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় পেলেন ৫২ রানের দারুণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ঢাকা ১৯.৫ ওভারেই গুটিয়ে ১৩১ রানে।
শেষ দিকে ইসুরু উদানা (১৬) ও শুভাগত হোম (১৩) চেষ্টা করেও দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেননি। আর আন্দ্রে রাসেল তো হতাশ করেন ১২ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরে। চট্টগ্রামের জার্সি গায়ে কিপ্টেমি বোলিংয়ে ৯ রানে ৩ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। শরিফুল ইসলাম ৩৪ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট।
একটি অলিখিত নিয়ম যেন হয়ে যাচ্ছে এবারের বিপিএলে। দিনের প্রথম ম্যাচে রান হবে না। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ছুটবে রানের ফোয়ারা। আসরের আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট সিক্সার্স গুটিয়ে গেল ৯৬ রানে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই ব্যাটিংয়ের চিত্রনাট্যটা পাল্টে যায়। জয়ের জন্য মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার সামনে ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুরন্ত ব্যাটিং করলেন উইল জ্যাক। তবে ৯ রানের জন্য অর্ধ-শতক মিস করেন এ ইংলিশ ওপেনার। ২৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় খেলেন ৪১ রানের দারুণ এক ইনিংস।
শেষ দিকে ৩৭ রান যোগ করেন বেনি হাওয়েল। সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ এনে যথাক্রমে ২৯ ও ২৫ রান। এতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স গড়ে ১৬১ রানের লড়াকু স্কোর। ঢাকার জার্সি গায়ে একাই তিন উইকেট শিকার করেন রুবেল হোসেন। একটি করে উইকেট নেন আরাফাত সানি, ইসুরু উদানা, শুভাগত হোম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।