বোলিংয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারিনি আমরা: গিবসন
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের আউটফিল্ড থেকে মূল উইকেটের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই বললেই চলে। সবুজ ঘাসের আস্তরণে ঢাকা এমন পিচে পেসাররা দাপট দেখান। কিন্তু বাংলাদেশের পেসারদের সঙ্গে ঘটেছে উল্টো। টস জিতে শুরু বল হাতে মাঠে নামলেও সবুজ উইকেটের ফায়দা লুটতে পারেনি এবাদত হোসেন-তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলামরা।
প্রথম টেস্টে বল হাতে দাপট দেখালেও দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ত্রয়ী টাইগার পেসার দিয়ে গেছেন রান। তাদের ক্ষুরধারহীন বোলিংয়ে এক উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান তুলে ফেলেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। কিন্তু কেন এমনটা হলো? কারণ টেস্টে তাদের খেলার অভিজ্ঞতা কম। ট্রেন্ট বোল্ড ও টিম সাউদি বাদে কেবল নেইল ওয়াগনার যতগুলো টেস্ট খেলেছেন, এবাদত-তাসকিন-শরিফুল তিনজন মিলেও এত টেস্ট খেলেননি।
পিচ থেকে সহায়তা পাচ্ছে না টাইগার পেসাররা। অভিজ্ঞতা না থাকায় বলও ভালো হচ্ছে না। ম্যাচের প্রথম দিন শেষে পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন বলেন, ‘পিচে আশানুরূপ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা ভালো বলও করিনি, না হলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারত। ছেলেরা ভালো করার চেষ্টা করছে। এবাদত এই ম্যাচে সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার যে খেলেছে মোটে ১২ ম্যাচ। তাসকিন নবম ম্যাচ খেলছে, শরিফুল তৃতীয়। এটা তাদের জন্য শিক্ষা।’
প্রথম টেস্টের দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্সের ধারাটা ধরে রাখতে না পারার ব্যাপারটা স্বীকার করে নিলেন গিবসন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কঠিন। এখানে সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। গত ম্যাচের মত আমরা আজ শৃঙ্খলা রাখতে পারিনি।’
নিউজিল্যান্ড সফরে এবার বেশ তরুণ দল নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের পেস বোলিং বিভাগের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা খুব বেশি নেই। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ড আর টিম সাউদিকে বাদ দিলেও নেইল ওয়াগনার যে কয়টি টেস্ট খেলেছেন, সফরকারীদের তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন আর শরিফুল ইসলাম সমন্বয়ে এখনো তার অর্ধেক টেস্টও খেলতে পারেননি।
নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলার মতো বল করতে পারেননি এবাদত-তাসকিন-শরিফুলরা। তার কারণটাও ব্যাখ্যা করলেন গিবসন। সঙ্গে কিউই ব্যাটসম্যানদের স্তুতিও গাইলেন, ‘তারা সত্যিই অনেক ভালো খেলেছে। গত সপ্তাহের মতো আমরা ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি। লাথাম দারুণ ব্যাট করেছে। সকালে ভালো বলগুলো ছেড়ে দিয়ে খেলেছে। আমাদের বল করে যেতে বাধ্য করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা চাপ সৃষ্টি করার মতো যথেষ্ট ভালো বল করতে পারিনি, যেভাবে গত ম্যাচে করেছিলাম। আর কনওয়ে তো অবিশ্বাস্য ফর্মে আছে।’