টাইগারদের আরও একটি আলো ঝলমলে দিন
দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে দাপট দেখান মাহমুদুল হাসান জয়। তার সঙ্গে কিউই পেসারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফিফটি পেলেও সেঞ্চুরি থেকে দুজনেই হন বঞ্চিত। তৃতীয় দিনে এসে ব্যাটিং ঝলক দেখালেন মুমিনুল হক ও লিটন দাস। দুজনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে আরও একটি আলো ঝলমলে দিন কাটল বাংলাদেশের।
তৃতীয় দিনে অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়েছেন মুমিনুল হক। লিটন দাসও উপহার দেন দুরন্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্স। তবে শতক মিস করেছেন মুমিনুল হক। সাজঘরে ফেরার আগে ২৪৪ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ৮৮ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন টাইগার ক্যাপ্টেন।
ব্যাটিং লড়াইটা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন। কিন্তু লাভ হলো না। জাদুকরী তিন অঙ্কের দেখা তিনিও পেলেন না। ১৭৭ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৮৬ রানের আলো ঝলমলে ইনিংস খেলে বিদান নেন তারকা এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। মুমিনুল ও লিটনকে ফেরান ওয়াগনার।
মুমিনুল-লিটনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ উইকেটে ৪০১ রান। এতেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা পেয়েছে ৭৩ রানের লিড।
এর আগে ব্যাটিং ঝলক দেখিয়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে তৃতীয় দিনে খুব একটা এগোতে পারলেন না। পেলেন না সেঞ্চুরিও। ১৭ বল খেলে যোগ করলেন মাত্র ৮ রান।
ব্যক্তিগত ৭৮ রানেই ফিরতে হয়েছে আগের দিন ব্যাটিং দাপট দেখানো জয়কে। ২২৮ বলে ৭ বাউন্ডারিতে অসাধারণ এক ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন এ তরুণ তুর্কি।
অন্য দিকে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ছোবলটা বসিয়েছেন নেইল ওয়াগনার। জয়কে হেনরি নিকোলসের তালুবন্দী করেন। আর ট্রেন্ট বোল্ট ফিরিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিমকে (১২)।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে নেইল ওয়াগনার নেন তিন উইকেট। তিনটি উইকেটটি পান ট্রেন্ট বোল্টও।
তার আগে ২ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে অতিথিরা। ব্যক্তিগত ৭০ রান নিয়ে দিন শুরু করেন জয়। মুমিনুল খেলতে থাকেন ব্যক্তিগত ৮ রান নিয়ে।