অভিষিক্ত বোল্যান্ড ঝড়ে অ্যাশেজ সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার
অভিষেকেই বল হাতে তোপ দাগালেন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপে। একাই ছয় উইকেট তুলে নিলেন স্কট বোল্যান্ড। তার ধ্বংসাত্মক বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টেস্ট জিতল ইনিংস ও ১৪ রানে। দুরন্ত এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করল অজিরা।
মেলবোর্নে দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ ওভারে ৩১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। এতেই জয়ের সুবাস পেয়ে যায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। আর অতিথি ইংলিশ শিবির পড়ে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবার শঙ্কায় যায়। ক্যাপ্টেন জো রুট (১২) ও তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস (২) চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বিপর্যয় এড়াতে পারেননি।
চতুর্থ দিনে খেলা হলো মাত্র ১২.৪ ওভার। দিনের শুরুতে বেন স্টোকস ১১ রান তুলে মিচেল স্টার্কের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতেই ফের মোড়ক লাগে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইন-আপে। এরপরই রীতিমতো আগুনের গোলা ছুঁড়তে শুরু করেন ম্যাচসেরা বোল্যান্ড। তাতেই তছনছ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের সব হিসাব-নিকাশ।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রুট ব্যাটিং করে যাওয়ার মতো দৃঢ়তা দেখাতে থাকেন। কিন্তু অন্য প্রান্ত দিয়ে তাসের ঘরের মতো ধসে পড়তে থাকেন ব্যাটসম্যানরা। তবে রুটও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৮ রান করে তিনিও বোল্যান্ড ঝড়ে উড়ে যান। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কও স্পর্শ করতে পারেননি। ফলে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় মাত্র ৬৮ রানে।
বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে বর্ষীয়ান পেসার বোল্যান্ড ফেলে দেন ইংল্যান্ডের ৬ উইকেট। ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক। বাকি উইকেটটি যায় ক্যামেরন গ্রীনের পকেটে।
তার আগে টস হেরে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন ও মিচেল স্টার্কের বোলিং দাপটে প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ফিফটি করেন জো রুট (৫০)। ৩৫ রান যোগ করেন জনি বেয়ারস্টো। তিনটি করে উইকেট নেন কামিন্স ও লায়ন। দুটি উইকেট পান স্টার্ক।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার মারকাস হ্যারিসের দুরন্ত ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রান তোলে স্বাগতিকরা। ১৮৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৭৬ রানে চমৎকার এক ইনিংস খেলেন হ্যারিস। জেমস অ্যান্ডারসনের বলে আউট হওয়ার আগে ডেভিড ওয়ার্নার এনে দেন ৩৮ রান। অসাধারণ বোলিংয়ে অ্যান্ডারসন নেন চার উইকেট। দুটি করে উইকেট ফেলেন অলি রবিনসন ও মার্ক উড।