তামিম-রিয়াদের সম্পর্ক এখনো অটুট

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবাল

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবাল

এবারের বিপিএলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা তিনজনই খেলবেন ঢাকার হয়ে। প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই অটো চয়েজে মাহমুদউল্লাহকে বেছে নিয়েছে ঢাকা। পরে আজ সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি বেছে নেয় তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। ড্রাফট শেষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানালেন, তামিমের সঙ্গে সম্পর্কটা এখনো অটুট।

তামিমের সঙ্গে সম্পর্কটা ঠিক আগের মতো নেই। দুজনের মধ্যে তৈরি হয়েছে দূরত্ব। এমন গুঞ্জন নিয়ে রিয়াদ বলেন, ‘অনেক কিছুই আমার হাতে নেই। অনেকেই অনেক কিছু ভাবে। আমি সবসময় আমার তরফ থেকে বিশ্বাস করতাম যে, বন্ডিং বা রিলেশন সবসময়ই ভালো ছিল।’

বিজ্ঞাপন

রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তামিম শোনালেন ছোট গল্প, “এটাই যদি হতো (মনোমালিন্য), তাহলে… আমি ছোট্ট একটা গল্প বলি। তাতেই আপনারা উত্তর পেয়ে যাবেন। আমাকে তো ড্রাফট থেকে নেওয়া হয়েছে। রিয়াদ ভাইকে আইকন হিসেবে (ড্রাফটের আগেই) নেওয়া হয়েছে। আমাকে দলে নেওয়ার পরই রিয়াদ ভাই ফোন করে আমাকে বললেন, ‘তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়।’ আমাদের সম্পর্ক যদি এতই খারাপ থাকত, তাহলে তো আমি এখানে আসতাম না। তাই না?”

মাশরাফির সঙ্গে খেলা সবসময় উপভোগ করেন। দেশের অন্যতম সফল অধিনায়কের সঙ্গে খেলে এবারের বিপিএলটাও উপভোগ করতে চান রিয়াদ, ‘এটা আমরা সবসময় উপভোগ করি মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে খেলা বা উনার অধীনে খেলা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে যেটি হলো তখনও খুব ভালো সময় আমরা কাটিয়েছি এবং ভালো ক্রিকেটও খেলতে পেরেছি। আশা করি ওইরকম ভালো একটা পরিবেশ যেন এই দলেও তৈরি করতে পারি এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি।’

বিজ্ঞাপন

সিনিয়র ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভালো ফলের প্রত্যাশা করছেন রিয়াদ, ‘সবসময়ই বিশ্বাস ছিল আবার একসঙ্গে খেলতে পারব। আলহামদুলিল্লাহ, আবার একসঙ্গে খেলতে পারছি। তামিমও আমাদের সঙ্গে আছে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা আমাদের দলে বেশি। তাই আমি আশা করি মাঠে যদি এটা কাজে লাগাতে পারি আমাদের ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা আছে এটা বিশ্বাস করি।’

প্লেয়ার্স ড্রাফটে বিসিবি থেকে খরচের কথা না ভেবে যাকে ইচ্ছে তাকে কেনার অনুমতি পেয়েছেন তামিম-রিয়াদরা। তামিম বলেন, ‘আমি কিছু খেলোয়াড় সাজেস্ট করেছি, রিয়াদ ভাই কিছু সাজেস্ট করেছেন, সুমন ভাই সাজেস্ট করেছেন, যেগুলোকে আমরা নিয়েছি। কিন্তু সবার শেষ কথা বিসিবিকে ধন্যবাদ দিতে হয়। শেষ মুহূর্তে এসে উনারা টেক ওভার করেছে। আমাদের বলা হয়েছিল যাকে ইচ্ছে নিতে পারব। সাধারণত এমন সময় হয় যে এত বাজেট, এর বেশি খরচ করা যাবে না। বিসিবি এই জায়গায় ব্রিলিয়ান্ট ছিল। সব বোর্ড পরিচালক বলেছে যাকে ইচ্ছে নাও।’