দেশের পেসারদের কমন সেন্সের ঘাটতি দেখছেন সুজন
মাঠের লড়াইয়ে বাংলাদেশের পেসাররা ঠিক নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না। দেশকে উপহার দিতে পারছেন না ম্যাচ জেতানোর মতো পারফরম্যান্স। ভালো করতে পারছেন না পেসবান্ধব উইকেটেও। মন্থর আর টার্নিং উইকেটে তো পুরোই ব্যর্থ।
পেসারদের এমন ব্যর্থতার কারণ হিসেবে কমন সেন্সের ঘাটতিকেই দেখছেন খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘এটা (টেস্টে ভালো মানের পেসার) যেদিন আল্লাহ দেয়। এ ছাড়া আর কী বলবো। প্রচুর অনুশীলন করে, ৬ ফিট লম্বা, ১৪০ গতিতে বল করে কিন্তু কোচ তো কাউকে গুলিয়ে খাইয়ে দিতে পারবে না। এটা কমন সেন্সের বিষয়। কোচরা অনুশীলন করায় কিন্তু খাইতে তো হবে আপনার। চিবাইতেতো হবে আপনার। আপনি যদি চিবাতে না পারেন! মাশরাফি কীভাবে উইকেট পেয়েছে? তাপস বৈশ্য কীভাবে উইকেট পেতো?’
মন্থর উইকেটেও পাকিস্তানের পেসার বেশ ভালো ফল পাচ্ছে। এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা থাকলেও পেসাররা ভালো করতে পারছে না। সেই আক্ষেপও ঝরল সুজনের কণ্ঠে, ‘তখন তো আমরা আরও পারতাম না, আরও জানতাম না। এখন তো আমাদের বোলিং কোচ আলাদা, এই কোচ, ঐ কোচ আলাদা। এটা বোলিং কোচের কাছে প্রশ্ন করলে ভালো হতো। বোলারদের ভুলটা হলো কমন সেন্স। এই উইকেটে কীভাবে বল করতে হবে, উইকেটে বল ধরতেছিলো কিন্তু এরপরও আমরা পিছে পিছে বল করেছি। এটাতো বোলিং কোচ উত্তর দিবে। বোলিং কোচের পরিকল্পনা যদি প্রয়োগ করতে না পারে তাহলে কোচকে জিজ্ঞেস করবে। ওদের শক্তির জায়গা কোনটা দুর্বল জায়গা কোনটা তারা জানবে।’
প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের শক্তির জায়গায় বল না করার পরামর্শ দিলেন বোর্ড পরিচালক সুজন, ‘আমি একটা ম্যাচের কথা বলি জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও ম্যাথু হেইডেন ব্যাট করছিলেন অস্ট্রেলিয়াতে, আমি তখন অধিনায়ক। ডেভ হোয়াটমোর পরিকল্পনা দিয়েছে আমারা যেন ওদের শক্তির জায়গায় বল না করি। এ জন্য আমরা বাইরে বাইরে বল করে গেছি। আমার কথা হলো আমি জোরে বল করি কিন্তু স্কিল একটা ভিন্ন জিনিস।’