বিপিএলের দল কিনতে চায় আট ফ্র্যাঞ্চাইজি
সামনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টুর্নামেন্টের নতুন আসরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি চেয়ে দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএলের আগামী আসরে ৬টি দল যোগ দিবে।
দরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা গতকাল, রোববার ৫ ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেছে। খুব বেশি যে সাড়া মিলেছে তা কিন্তু নয়। মাত্র ৮টি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল পেতে দরপত্র জমা দিয়েছে। এই তালিকা থেকে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত হবে দল।
আজ সোমবার, ৬ ডিসেম্বর রাজধানী এক পাঁচতারকা হোটেলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আজ যেটা জানলাম, এবারের আসরের জন্য ৮টি ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা তাদের দেখব, যাচাই-বাছাই করব, তারপর ফাইনাল করবো। এখনও কিছু ফাইনাল হয়নি।’
শোনা যাচ্ছে, বিপিএলের আসন্ন আসরে থাকছে না দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ও বসুন্ধরা। বসুন্ধরার মালিকানায় ছিল রংপুর রাইডার্স। আর ঢাকা ডায়নামাইটস ছিল বেক্সিমকোর।
বেক্সিমকো ও বসুন্ধরার সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারটা নিয়ে আসলে পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি বোর্ড প্রধান, ‘এটা বলা মুশকিল, আসলে বেক্সিমকো থাকবে কি থাকবে না। এটা আমি এখনো জানি না। তবে অনেকেরই আগ্রহ আছে। আসলে হয় কি ছোট সংস্করণ তো এক বছর এক বছর করে অনেকেই আগ্রহী না। অনেকেই দীর্ঘ সময়ের জন্য আগ্রহী। তাহলে ওরা একটা পরিকল্পনা করে নামতে পারে। আমি জানি না, বসুন্ধরাও আগ্রহী কি না।’
এবার বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেশী ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের খুব বেশি তফাৎ রাখতে চাচ্ছে না বোর্ড বিসিবি। পাপন বলেন, ‘প্রথমে যখন আমি বিপিএল নিয়ে কথা বলি তখনই আমি প্রশ্নটা তুলেছিলাম যে বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমাদের খেলোয়াড়দের বিশেষ করে ড্রাফটে যারা আছে তাদের পার্থক্যটা খুব বেশি না হয়। আমাদের প্লেয়াররা যেন তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিকটুকু পায়।’
করোনাকালে গত মৌসুমে হয়নি বিপিএল। যদিও এই টুর্নামেন্টের আদলে দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে গত মৌসুমে বিসিবি আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। ফলে ২০১৯-২০ মৌসুমের পর ফের মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল। ২০ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিপিএল আয়োজন করতে চায় বিসিবি।