সাকিবের নৈপুণ্যে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
অনেক দিন ধরেই রান খরায় ভুগছিলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে কিছুতেই যেন পাচ্ছিলেন না রানের দেখা। অবশেষে হাসল তার ব্যাট। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার পেয়েছেন বড় ইনিংসের দেখা। সুবাদে পাঁচ বল হাতে রেখে টাইগাররা জিতল ৩ উইকেটে। তাতেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
২০০৯ সালের পর মানে দীর্ঘ ১২ বছর পর জিম্বাবুয়ের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সঙ্গে বিশ্বকাপ সুপার লিগে বাংলাদেশ পেল মূল্যবান আরো দশটি পয়েন্ট। ১১ ম্যাচ খেলে ৭ জয় আর ৪ হারে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এখন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
সাকিব খেললেন ৯৬* রানের হার না মানা দাপুটে ইনিংস। ২৮* রান নিয়ে অপরাজিত থেকে যান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সাকিবকে সঙ্গ দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিরেছেন ২৬ রান নিয়ে। তার পথ ধরে সাজঘরে ফিরে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। প্রথম ম্যাচে দাপুটে ব্যাটিং করা আফিফ হোসেন সংগ্রহ করেছেন মাত্র ১৫ রান।
জয়ের লক্ষ্য টপকে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৪৯.১ ওভারে ২৪২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও সুবিধা করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ২০ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন এ টাইগার ক্যাপ্টেন। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস ফিরেছেন ২১ রান নিয়ে। আউট হয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন।
তার আগে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ২৪১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানের লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা।
এ ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।
ব্রেন্ডন টেলরকে (৪৬) আউট করেন শরিফুল ইসলাম। তরুণ এ পেসার পরে পান আরও তিনটি উইকেট। তিনি ফিরিয়ে দেন ফিফটি করা ওয়েসলি মাধেভেরেকে (৫৬), লুক জঙ্গে ও ব্লেসিং মুজারাবানিকে। শরিফুল শিকার করেন চার উইকেট।
সিকান্দার রাজা দলীয় স্কোরে যোগ করেন ৩০ রান। ষষ্ঠ উইকেটে মাধেভেরের সঙ্গে ৬৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে এনে দেন বড় সংগ্রহ। তার আগে জিম্বাবুয়ে ১৪৬ রানে হারিয়ে ফেলেছিল ৫ উইকেট।
বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বিদায় করেন রেগিস চাকাভাকে। ২৬ রান নিয়ে সাকিবের স্পিন জাদুতে বোল্ড হয়েছেন চাকাভা। পরে আরও একটি উইকেট পেয়েছেন সাকিব। ৩৪ রান নিয়ে সাকিবের বলে সাজঘরে ফিরেছেন ডিওন মেয়ার্স। সাকিব উইকেট নেন দুটি।
অবশ্য ব্যাট হাতে শুরুতে মাঠে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দলীয় স্কোরে ৩ রানের মাথায় স্বাগতিকরা হারিয়ে ফেলে ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামউইয়ের উইকেট। পেসার তাসকিন আহমেদের বলে এক রান নিয়ে আফিফ হোসেনের তালুবন্দী হন তিনাশে।
পরে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরিয়ে দেন তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে। মিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে এ ওপেনার যোগ করেন ১৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২৪০/৯, ৫০ ওভার (চাকাভা ২৬, টেইলর ৪৬, মায়ার্স ৩৪, মাধেবেরে ৫৬, রাজা ৩০; শরিফুল ৪/৪৬, সাকিব ২/৪২)।
বাংলাদেশ: ২৪২/৭, ৪৯.১ ওভার (তামিম ২০, লিটন ২১, সাকিব ৯৬*, মাহমুদউল্লাহ ২৬, আফিফ ১৫, সাইফ ২৮*; জঙ্গে ২/৪৬)।
ফল: বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচসেরা: সাকিব আল হাসান।