হাসান মাহমুদের সাফল্যকে পরিশ্রমের পুরস্কার বলছেন বোলিং কোচ
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রেখেছেন বোলাররা। তিন পেসার এবং দুই স্পিনারের সমন্বয়ে গড়া বাংলাদেশ দলের বোলিংয়ের কোন জবাবই দিতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গুটিয়ে যায় মাত্র ১২২ রানে। ৬ উইকেটে ম্যাচ জয়ের শতকরা ৯০ ভাগ কাজটাই সুসম্পন্ন করে দিয়েছিলেন বোলাররা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে দলের বোলারদের প্রশংসায় ভাসালেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ ওটিস গিবসন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেক হওয়া তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ ৩টি উইকেটে পেয়েছেন। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে হাসান মাহমুদ টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিরোধ গুড়িয়ে দেন। তরুণ এই পেসারকে নিয়ে ভীষণ আশাবাদি ওটিস গিবসন। তিনি বলছিলেন-‘অনেকেই হাসান মাহমুদের এই পারফরমেন্স দেখে একটু হয়তো অবাক হচ্ছেন, তার প্রথম ম্যাচ বলেই। কিন্তু আমি মোটেও অবাক নই। জানতাম ও সাফল্য পাবেই। এজন্যই তাকে একাদশে রাখা হয়েছিল। কারণ আমরা তার উন্নতি দেখেছি। সে পেছনের প্রায় ১২ মাস ধরেই আমাদের সঙ্গে আছে। গত বছরের শুরুতে পাকিস্তান সফরেও ছিল। পেছনের এই সময়টায় আমরা তার ভালোই উন্নতি হতে দেখেছি। ভালো ছিল যে সে সুযোগ পেয়েছে এবং অভিষেকেই তিন উইকেট শিকার করেছে। এই সাফল্য তার পরিশ্রমের পুরস্কার।’
৬ উইকেটে সিরিজের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতলেও উইকেট এবং কুয়াশাছন্ন পরিবেশের কারণে ক্রিকেটীয় এই কন্ডিশনকে আদর্শ বলছেন না বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ- ‘আমরা ম্যাচটা জিতেছি একটা দলগত পারফরমেন্সের জোরেই। তবে এই ম্যাচের কন্ডিশন ঠিক আদর্শ ছিল না, পিচে বেশ ভাল টার্ন ছিল। বল একটু দেরিতে ব্যাটে আসছিল। উইকেটে বল গ্রিপ করছিল। দুই পেসার মুস্তাফিজ ও রুবেল শুরুতে খুবই ভালো বোলিং করেছে। হাসান মাহমুদের দারুণ অভিষেক হয়েছে। আমাদের দুই স্পিনার সাকিব ও মেহেদি হাসান মিরাজ উইকেট থেকে পুরো সুবিধা আদায় করতে পেরেছে। জয় দিয়ে আমরা সিরিজ শুরু করতে পেরেছি এটাই আমাদের জন্য বড় সাফল্য।’
তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ১-০ ব্যবধানে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ মিরপুরে হবে শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি। সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই ম্যাচ। ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচ হবে ২৫ জানুয়ারি, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।