গ্রেনেড হামলায় খালেদা-তারেক জড়ানো রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি

  • স্টাফ করেসপেন্ডন্ট,বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: বার্তা২৪

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: বার্তা২৪

ঢাকা: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জবানবন্দিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে যে অভিযোগ করছেন তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও দুরভিসন্ধিমূলক ছাড়া কিছু না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী এমন কথা প্রধানমন্ত্রী বলেই চলেছেন।

তিনি বলেন, অথচ ২০০৭ সালে সাব জেলে বন্দি থাকার সময় এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফজলুল কবির জিজ্ঞাসাবাদ করলে জবানবন্দিতে তিনি (শেখ হাসিনা) খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেননি। তাদের কোন সম্পৃক্ততা আছে বলেও দাবি করেননি।এমনকি এই মামলার সাক্ষী থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা আদালতে সাক্ষ্য দেননি।

ফখরুল বলেন, লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ইন্টারপোল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলায় রেড এলার্ট জারি করেছিল। পরবর্তীতে ইন্টারপোলের প্রধান কার্যালয় প্রয়োজনীয় তদন্ত করে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোন সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পেয়ে ১৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে লিখিতভাবে সেই রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার করে নেয়।

তিনি বলেন, বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিএনপির রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সময়ে অপপ্রচার চালিয়েছে, দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ করেছে, বানোয়াট গল্প সাজিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত সুযোগ পেয়ে তার বিরুদ্ধে হত্যার সহযোগিতার অভিযোগ এনেছে। এতে তারা সফল হয়নি, হবেও না। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব কথা প্রচার করা হতো তার কোনটাই গত ১০/১২ বছরে সরকার প্রমাণ করতে পারেনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার গোটা বিষয়টিকে তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন ও দুর্বল করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। এজন্য দলীয় একজন নেতাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে মামলার অন্যতম আসামিকে দিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করেছিল। কিন্তু সেই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করে মুফতি হান্নান সরকারের ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দিয়েছে। এখন তারা বিচার বিভাগকে দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ইচ্ছা পূরণের অপচেষ্টায় রত রয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্যায় ভাবে মিথ্যা অভিযোগে খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দিয়ে সরকার জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বরং আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানকে দেশের স্বার্থে একান্ত প্রয়োজনীয় মনে করি। নতুন সংকট সৃষ্টির পরিবর্তে সরকারের উচিত বিদ্যমান সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।