চিকিৎসকদের সুরক্ষা, রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গণসংহতি আন্দোলন

গণসংহতি আন্দোলন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত উদ্যোগের সঙ্গে বাস্তবতার অমিল রয়েছে দাবি করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা।

এক যুক্ত বিবৃতিতে দলটির সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল বলেন, দেশের সকল হাসপাতালে ডাক্তার-নার্স-ওয়ার্ডবয়দের জন্য এখনো পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

নেতারা বলেন, এই দুর্যোগে ডাক্তাররা আমাদের সামনের সারির যোদ্ধা, তাদের সুরক্ষিত করতে না পারলে আমরা এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারবো না। সরকার তাদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহ না করে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর নির্দেশনা-আপত্তিকর হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক তার প্রতিষ্ঠানের ডাক্তারদের নিজ দায়িত্বে পিপিই সংগ্রহ করার নির্দেশনা দেওয়ার কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সরকারের এসব কর্মকাণ্ড মানুষের মধ্যে আরো আতঙ্ক সৃষ্টি করবে।

নেতারা অবিলম্বে ডাক্তারদের সুরক্ষার বিষয়টাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের জন্য পিপিই সরবরাহ করার জোর দাবি জানান, যাতে করে তারা নির্ভয়ে রোগীদের সেবা দিতে পারেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) গণমাধ্যমের পাঠানে ওই বিবৃতিতে গণসংহতির নেতারা বলেন, সরকার দেরিতে হলেও সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে। কিন্তু আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জনগণের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অমর্যাদাকর আচরণের খবর পাচ্ছি, যা দুর্যোগ মোকাবিলায় মোটেও ইতিবাচক নয়।

তারা বলেন, জনগণ আইন অমান্য করলে তার জন্য যথাযথ আইনানুগ শাস্তি না দিয়ে ‘শারীরিক প্রহার’, ‘কান ধরে উঠবস’—স্বাধীন বাংলাদেশে জনগণের সাথে এ ধরনের ঔপনিবেশিক ও মর্যাদাহানিকর আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়।

নেতারা নিন্দা জানিয়ে বলেন, দুর্যোগের সময়ে যখন সকলের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করে সবার মধ্যে সংহতি সৃষ্টি করা প্রয়োজন, তখন আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করলাম- করোনা বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কারণে দুইজন সরকারি শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। নেতারা অবিলম্বে ওই দুই শিক্ষককে সসম্মানে পুনর্বহাল করার দাবি জানান।

দুর্যোগ পরিস্থিতির মধ্যেও বকেয়া বেতনের দাবি করা দিনাজপুরের একজন পাটকল শ্রমিক পুলিশের গুলিতে নিহত হবার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।