লকডাউনের আগে খাবার নিশ্চিত করতে হবে: জিএম কাদের

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের/ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের/ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, কোভিড-নাইনটিন ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন করে চীন অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতায় লকডাউন করার আগে আটকে পড়া মানুষদের পর্যাপ্ত খাবার, পানি এবং ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক মানুষই দিন আনে দিন খায়। আবার টাকা থাকলেও তো অনেকেই খাবার কিনতে বের হতে পারবে না। তাই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হতদরিদ্রদের কথা ভাবতে হবে। অন্যথায় উপকারের চেয়ে অপকার হয়ে যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এক ভিডিও বার্তায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোভিড-নাইনটিন এর আতংকে আতংকিত সারাবিশ্ব। আতংক ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। মানুষ বুঝতে পারছে না এই ভাইরাস আমাদের কতটা ক্ষতি করবে বা ভবিষ্যৎ কী হতে পারে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে জাতীয় পার্টি। যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী আমরা সার্বিকভাবে সরকারকে সহায়তা করবো। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সারাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচারণা চলছে। জাতীয় পার্টি সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে।

রোগটি মারাত্মক ছোঁয়াচে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকেরই সর্দি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট হয়, সে অনুযায়ী স্বাভাবিক চিকিৎসা নেওয়াই উত্তম। বর্তমান বাস্তবতায় হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে ভিড় করা ঠিক নয়। এতে প্রকৃত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা ব্যাহত হবে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগে মৃত্যুর হার ২ থেকে ৩ ভাগ। ইতোমধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তারা বয়োবৃদ্ধ এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে ৮ থেকে ১০ বছর বয়সের নিচের শিশুরা কোভিড-নাইনটিনে আক্রান্ত হচ্ছে না। আবার অধিকাংশ বয়স্করাও চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তাই আতংকিত না হয়ে সচেতন হতেও পরামর্শ দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ সর্দি, কাশি, জ্বর কিংবা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে, তাকে অবশ্যই আলাদাভাবে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ, পরীক্ষা ছাড়া কেউ জানে না কে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। আবার করোনা আক্রান্ত হলেও সেজন্য সরকারিভাবে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব কিছু রেডি থাকতে হবে। শ্বাসকষ্টজনিত রোগে অক্সিজেন সহায়তাসহ উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

চীন থেকে উৎপত্তি হলেও করোনা ভাইরাস এখন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে না পারলেও, রোগটি যেন না ছড়ায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। আবার ব্যক্তিগতভাবেও সচেতন থাকতে হবে সবাইকে।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের কথা উল্লেখ করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, সংস্থাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার। তাই পরীক্ষার উপকরণ দেশে না আসা পর্যন্ত সবাইকে সচেতন থাকতে হবে, যাতে ভাইরাসটি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে না পড়ে।

তিনি বলেন, কেউ সর্দি, কাশি, জ্বর বা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে যেন অস্পৃশ্য ভেবে ঘৃণা না করি, তার চিকিৎসা যেন ব্যাহত না হয়। বলেন সবাই যেন মানবিক আচরণ করি আক্রান্ত মানুষদের সাথে।