জাপায় দুইয়ের বেশি পদে কোনো নেতা থাকবেন না: রাঙ্গা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মসিউর রহমান রাঙ্গা, ছবি: সংগৃহীত

মসিউর রহমান রাঙ্গা, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, জাতীয় পার্টিতে দুইয়ের বেশি পদে কোনো নেতা থাকবেন না। তবে, প্রয়োজনে পার্টির চেয়ারম্যান কাউকে অতিরিক্ত পদে দায়িত্ব দিতে পারবেন।

তিনি বলেন, ২০ মার্চ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশের সব কমিটির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল, দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সুবিধামত সময়ে আলোচনা ও দোয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করবে জাতীয় পার্টি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এখনই এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিস মিলনায়তনে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, কো-চেয়ারম্যান ও দলের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে যৌথ সভা শেষে পার্টি মহাসচিব এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমিতদের যেন সরকারিভাবেই যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এজন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান দলের চিকিৎসক এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সরকারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি আছে।

তিনি বলেন, পাঁচটি উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নিচ্ছে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য পাঁচটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কমিটিগুলো নির্বাচন পরিচালনার পাশাপাশি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে। জাতীয় পার্টি সব নির্বাচনেই অংশ নেবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করছে।

আগামীতে ৩০০ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি। এজন্য স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিট কমিটি বাদ দিয়ে নতুন করে সম্মেলনের মাধ্যমে আরো শক্তিশালী করা হবে জাতীয় পার্টিকে। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের পার্টিতে অন্তর্ভুক্ত করতেই দুইয়ের বেশি কোনো কমিটিতে থাকতে পারবেন না কেউই, যোগ করেন রাঙ্গা।

এর আগে সকাল ১১টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের সভাপতিত্বে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তব্য দেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মি. সুনীল শুভরায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো. আজম খান, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মো. মিজানুর রহমান, সংসদ সদস্য নাজমা আখতার, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, মো. জহিরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য আদেলুর রহমান আদেল, সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান।