‘দুর্নীতির বোঝা জনগণের ওপর চাপানো যাবে না’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

সরকার উপুর্যুপরি দুর্নীতির পয়সা যোগান দিতে আবারও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা। বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তারা।

রোববার (০১ মার্চ) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা মহানগরের সমন্বয়কারী মনির উদ্দীন পাপ্পুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে বিইআরসি’র উদ্যোগে গত অক্টোবর মাসে গণশুনানি হয়েছিল। সেই সময় সকল পক্ষের এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই প্রমাণিত হয়েছিল বর্তমান সময়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কোন যৌক্তিকতা নেই। বরং বিদ্যুৎ খাতে যে বিপুল দূর্নীতি চলছে তার লাগাম টেনে ধরতে পারলে বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব।

বক্তারা বলেন, সরকার অর্থনীতিবিদ ও ভোক্তাদের কথা না শুনে উপর্যপুরি দুর্নীতির পয়সা যোগান দিতে আবারও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। সরকারের হিসাব মতে গত ১১ বছরে প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে এ খাতে। এর মধ্যে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে নির্লজ্জ লুটপাটে। এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও তারা পয়সা নিয়ে যাচ্ছে। ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার অবৈধ্য পন্থায় জনগণের পকেটের পয়সা বের করে নিচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকা শহরের এক তৃতীয়াংশ মানুষকে দূষিত পানি সর্বরাহ করেও গত ১১ বছরে ১৩ বার পানির দাম বাড়িয়েছে। বিদ্যুৎ ও পানির দাম একসাথে বৃদ্ধি করা হলে সাধারণ মানুষের জীবনের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে সেটা নিয়ে সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। অধিকাংশ খেটে খাওয়া সীমিত আয়ের মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়বে দ্বিগুণ তিনগুণ মাত্রায়। করোনাভাইরাসের দোহাই দিয়ে ইমধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার ওপর এই সেবা খাতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে ঘরভাড়াসহ সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে। অবৈধ সরকার এই বাড়তি খরচের চাপ জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তাদের লুটপাট আরো বৃদ্ধি করতে চাইছে।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় সংগঠক ও ঢাকা মহানগরের সদস্য সৈকত মল্লিক, বেলায়েত শিকদার, ঢাকা মহানগরের নির্বাহী সমন্বয়কারী মনিরুল হুদা বাবন, লালবাগ থানার আহ্বায়ক এম এইচ রিয়াদ, কাফরুল থাকার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দীনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।