ঢামেকে জামায়াত নেতা আব্দুস সুবহানের মৃত্যু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আব্দুস সুবহান

আব্দুস সুবহান

 

জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সুবহান মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

বিজ্ঞাপন

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে প্রায় সাত বছর ধরে তিনি কারান্তরীণ ছিলেন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামায়াতের এই নেতা মারা যান বলে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেন জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য এহসান মাহবুব যোবায়ের।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সুবহান কাশিমপুর কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। গত বছরের ২২ জুলাই কারাগারের বাথরুমে পড়ে আহত হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই মারা যান আব্দুস সুবহান।

হাসপাতাল ও কারাগারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে জামায়াত নেতা আব্দুস সুবহানের মরদেহ পাবনা নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানান এহসান মাহবুব যোবায়ের।

প্রসঙ্গত, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সুবহান ওরফে মাওলানা সুবহানের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সুজানগর থানার মানিকহাটি ইউনিয়নের তৈলকুণ্ডি গ্রামে। তার বাবার নাম শেখ নাঈমুদ্দিন, মায়ের নাম নূরানী বেগম।

পাবনা জেলা জামায়াতের কমিটি গঠনের সময় সুবহানকে আমিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তিনি নিখিল পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য হন।

১৯৬২ থেকে ৬৫ সাল পর্যন্ত প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন সুবহান। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমজাদ হোসেনের কাছে তিনি পরাজিত হন।

বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম দমনে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা দিতে শান্তি কমিটি গঠন করা হলে পাবনা জেলা কমিটির সেক্রেটারির দায়িত্ব পান সুবহান। পরে তিনি ভাইস-প্রেসিডেন্ট হন।

তার নেতৃত্বেই পাবনা জেলার বিভিন্ন থানায় শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও মুজাহিদ বাহিনী গঠিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ইয়াহিয়া সরকারের পতন দেখে জামায়াতগুরু গোলাম আযমের সঙ্গে সুবহানও পাকিস্তানে চলে যান। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি দেশে ফেরেন এবং পরে সংসদ সদস্য হন।