পটুয়াখালীর বাউফলে ছাত্রদল নেতা মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজের নেতৃত্বে জামায়াতের তিন নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মাওলানা ওজিবুল্লাহ (৪০), নাঈম আবদুল্লাহ (৩৫) ও আলামিন (৩০)। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মসজিদে তর্কের জেরে মিরাজের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে জামায়াতের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
‘বিনা ভোটের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী রাউজান উপজেলাকে সারাদেশের মধ্যে বিনা ভোটের মডেলে পরিণত করেছিলেন। রাউজানে কোনো উপজেলা, পৌরসভা কিংবা ইউপি নির্বাচনের কোনো ভোট হয়নি। স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারতেন না তিন লাখ ভোটার। তিনি যাকে মনোনয়ন দিতেন তিনিই চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র হতেন। ভবিষ্যতে আর কেউ যাতে বিনা ভোটে যাতে নির্বাচিত না হতে পারে সেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে।’
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাউজানের নোয়াপাড়া পথের হাটে একটি কনভেনশন হলে ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পূর্ব ও পরবর্তী রাউজানের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসংলাপ’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলন রাউজান উপজেলা শাখা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সংলাপে বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে মানুষের ভেতর রাষ্ট্র পুনর্গঠনের যে আকাঙ্খা তৈরি করেছে, সেটার সম্ভাবনা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে কথা হচ্ছে। সেই বন্দোবস্ত হবে গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খাই ছিলো একটি গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু প্রত্যেকটি সরকার মানুষের আকাঙ্খার মূল্য কম দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশটার জন্ম দিলেও তাদের অভিভাবক হতে দেয়া হয়নি। হাজারো শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশের যে সম্ভাাবনা তৈরি হয়েছে, সেই সম্ভাবনাকে আমরা সবাই মিলে বাস্তবে রূপায়ন করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলন রাউজান উপজেলার সংগঠক মো. মোরশেদুল আলমের সভাপতিত্বে ও মো. হাবিবউল্লাহ রাসেলের সঞ্চালনায় গণসংলাপে অংশগ্রহণ করেন গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হাসান মারুফ রুমী, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক নাসির জসি, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রামের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সাহাদাৎ হোসেন তালুকদার, গণসংহতি আন্দোলন উত্তর জেলার সদস্য সচিব জাহেদুল আলম আল জাহিদ, গণসংহতি আন্দোলন চান্দগাঁও থানার আহ্বায়ক ইকবাল মাসুদ, বোয়ালখালী থানার আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মুক্তিয়ার প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মো. আবুল বশর, হাসান মুরাদ শাহ, শিক্ষক মোহাম্মদ খসরু, ইলিয়াস তালুকদার, মোহাম্মদ আরিফ, নাজমুল হাসান আসিফ, রুবেল হোসেন, শুভাশিষ ভট্টাচার্য, স্বপন আচার্য গণসংলাপে অংশ নেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মামুন আলী প্রকাশ কিং আলী ও পাঁচলাইশ থানর বিএনপির গবেষণা সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন ঝন্টুকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. ইদ্রিস আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মামুন আলী প্রকাশ কিং আলী ও পাঁচলাইশ থানর বিএনপির গবেষণা সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন ঝন্টুকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে ১৭ অক্টোবর পাহাড়তলীর মোহাম্মদ ট্রেডিং নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ‘ফিল্মি স্টাইলে’ চাঁদাবাজি করতে যাওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা হয় চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক সদস্য মামুন আলী ওরফে কিং আলী এবং তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সত্যতা যাচাইয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ওইদিন রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মামুন আলীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া হাফিজ উদ্দিন ঝন্টুকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকায় বহিষ্কার হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান তিনি।
এনডিপির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংস্কারসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওনারা আমাদের কাছ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা আশা করছিলেন সংস্কার নিয়ে, নির্বাচনে আর কি কি করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রথমে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলো। নির্বাচন নিয়ে আমরা বলেছি ২০২৫ সালের জুনের পরে সহজেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। এবং ওনাদের সেভাবে চেষ্টা করা প্রয়োজন। ওনারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে আমাদের নিয়মিত আলোচনায় থাকবেন। এই আলোচনার মাধ্যমে যত শিগগিরই নির্বাচন দেবার একটি প্রচেষ্টা আছে। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছেন যে কমিশন গঠিত হয়েছে সেই কমিটির রিপোর্ট আসলে আমাদের সাথে আরেকবার বসবেন। এবং এই রিপোর্ট মোতাবেক সংস্কার ওনারা করবেন নাকি নির্বাচিত সরকার করবে ওটা ঠিক করেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন।
তার আগে নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়ার চেষ্টা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা আস্থা রাখি প্রধান উপদেষ্টা যে কথাগুলো বলেছেন সেই কথা মোতাবেক আগামী দিনে কাজ করবেন, বলেন তিনি।
তিনি আর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের অনেকগুলো দাবির মধ্যে অন্যতম হলো জুলাই-আগস্টে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের যথাযথ খোঁজ নেওয়া। এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদের সঠিক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি।
এছাড়া গত ১৫ বছরে আওয়ামী সরকার বিরোধীমতের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহারের দাবি। বিশেষভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহারের কথা বলেছি। তারা বলেছেন এই বিষয়ে তারা সুনজর দিবেন।