রওশন প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বাড়ছে কো-চেয়ারম্যানের সংখ্যা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে জিএম কাদেরসহ (ডান থেকে দ্বিতীয়) অন্যান্য নেতা, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে জিএম কাদেরসহ (ডান থেকে দ্বিতীয়) অন্যান্য নেতা, ছবি: সংগৃহীত

রওশন এরশাদ প্রধান পৃষ্ঠপোষক, একজন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান, ছয়জন কো-চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত মহাসচিব পদে যুক্ত হচ্ছেন সাতজন। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে গঠনতন্ত্রে এমন সংশোধনীর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী অফিসে প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরশাদের মৃত্যুর পর এবারই প্রথম প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।

বিজ্ঞাপন

বহুদিন পর সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে দেখা যায় সভায় অংশ নিতে।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত হলো-প্রধান পৃষ্ঠপোষক হবেন দলের সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যক্তি, আর পার্টির চেয়ারম্যান হবেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রধান পৃষ্ঠপোষকের সঙ্গে পরামর্শক্রমে দল পরিচালনা করবেন তিনি।

প্রধান পৃষ্ঠপোষক পদটি রওশন এরশাদের জন্য সৃজিত। রওশন এরশাদের অবর্তমানে এ পদটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তখন আগের গঠনতন্ত্রে ফিরে যাবে জাতীয় পার্টি। বর্তমানে একটি সিনিয়র ও একটি কো-চেয়ারম্যানের পদের সঙ্গে নতুন করে আরও পাঁচটি কো-চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সিনিয়রসহ কো-চেয়ারম্যান পদের সংখ্যা দাঁড়াবে সাতে।

জুমার নামাজের জন্য সভা শেষ করে দেওয়ায় অতিরিক্ত মহাসচিব পদে সাত বিভাগের জন্য সাতটি পদ সৃষ্টির আলোচনা হলেও বিষয়টি পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়নি।

গঠনতন্ত্রের এ সংশোধনী পার্টির কাউন্সিল অধিবেশনে তোলা হবে। সেখানে অনুমোদন হলে এটি চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধন উপ-কমিটির আহ্বায়ক সুনীল শুভরায় সংশোধনী প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। এ উপ-কমিটির অপর দু’জন হলেন-ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।

সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেন- পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম, হাবিবুর রহমান, এসএম ফয়সল চিশতি, আজম খান, কাজী মামুনুর রশিদ ও আলমগীর সিকদার লোটন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন-কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, মো. আবুল কাশেম, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সাহিদুর রহমান, মুজিবুল হক চুন্নু, সালমা ইসলাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মাসুদ পারভেজ (অভিনেতা সোহেল রানা), মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, আব্দুর রশীদ সরকার, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, মুজিবর রহমান সেন্টু, ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, মো. মিজানুর রহমান, সৈয়দ দিদার বখ্ত, নাজমা আখতার, আব্দুস সাত্তার মিয়া, এমরান হোসেন মিয়া, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল, লিয়াকত হোসেন খোকা ও সেলিম ওসমান।