গাইবান্ধায় জামায়াত কর্মী হত্যা, আ.লীগ উপদেষ্টাসহ দুইজন কারাগারে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক সরদার। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক সরদার। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক সরদার সহ দু'জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গাইবান্ধার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হাসানের আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

জহুরুল হক সরদার গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও ওই উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। এছাড়া অপরজন সুন্দরগঞ্জ পৌর যুবলীগের সভাপতি মারুফ হোসেন বাদল।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার দীর্ঘ সাড়ে ১০ বছর পর, গত বছরের অক্টোবরে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই এসএম শাহজাহান কবির। মামলায় সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিকে প্রধান আসামি এবং জহুরুল হক সরদারসহ ৭৯ জনের নাম উল্লেখ কর হয়। এছাড়া অজ্ঞাত নামা আসামি করা হয় ৪০ থেকে ৫০ জনকে।

মামলার পর আসামি জহুরুল হক সরদার ও মারুফ হোসেন বাদল হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ তারা বুধবার গাইবান্ধা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং নতুন করে জামিনের আবেদন করেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জাহিদ হোসেন খাঁন বলেন, “শাহাবুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের অন্যতম এই দুই অভিযুক্ত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।