‘রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতায় জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমানের প্রথম সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন

জিয়াউর রহমানের প্রথম সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন

কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জিয়া পরিবারের অসামান্য অবদান রয়েছে। এই স্বাধীন রাষ্ট্রের অভূত্থানের প্রথম লগ্ন উচ্চারণ হয়েছিল জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতাই যখন বাংলাদেশের মানুষ একটি অনিশ্চয়তা এবং অন্ধকার জীবনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে তখন সাহসী কণ্ঠ মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া জিয়ানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রথম সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় যুবদলের দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরুকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত শাসনামলে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে। অনেকেই জানে না ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। উনার কৃতিত্ব ও কীর্তির মাধ্যমে নিজেকে একজন ক্ষণজন্মা মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। প্রকৃত পক্ষে তিনি একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন। খাল কাটা কর্মসূচির মাধ্যমে স্বনির্ভর বাংলাদেশ এবং কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান।

তিনি বলেন, আবেগের জায়গায় আমি এসেছি আজ। এখানে জিয়াউর রহমানের প্রথম সমাধি। এখানে আসার পর আবেগে আপ্লুত হয়েছি। এই চট্টগ্রামে শহীদ জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে। এ চট্টগ্রামর সাথে বিএনপির সম্পর্ক শিকড়ের।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তিনি নিজে ইতিহাস রচনা করে গিয়েছেন। যদিও তার জীবন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ছিল। তার এ সংক্ষিপ্ত ঐতিহাসিক ও বর্ণাঢ্য জীবন শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রামে তার অনেকগুলো ঐতিহাসিক মুহূর্ত রয়েছে। তিনি যে সব স্থানে রয়েছেন প্রতিটি স্থান ঐতিহাসিক হয়েছে এবং সে সব স্থানে আজকে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।

তিনি বলেন, আমরা চাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবনের বর্ণাঢ্য কর্মযজ্ঞ তা নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করার জন্য। গত ১৬ বছর বাংলাদেশের অনেক অন্যায় হয়েছে, তার মধ্যে বড় অন্যায় মধ্যে ছিল ইতিহাস বিকৃত করা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানকে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে দেওয়ার জন্য, সমস্ত পাঠ্যপুস্তক থেকে তার নাম মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম অঙ্কিত রয়েছে, এটা কখনো সম্ভব হবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ মুন্না, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া, সাবেক উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সাইফুর রহমান শপথ, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ জসিম, সাধারণ সম্পাদক এস এ মুরাদ চৌধুরী প্রমুখ।