বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মামুনুল হককে আমীর ও মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদকে মহাসচিব করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ২০২৩-২৪ সেশনের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার শেষ অধিবেশন আমীরে মজলিস আল্লামা ইসমাইল নূরপুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। শূরায় ২০২৫-২০২৬ সেশনের জন্য শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নুরপুরীকে চেয়ারম্যান করে অভিভাবক পরিষদ, শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হককে আমীর ও মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদকে মহাসচিব করে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।
অভিভাবক পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলনা আবুল কালাম, মাওলানা আকরাম আলী, মুফতি হিফজুর রহমান, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা ফরিদ আহমদ খান, মাওলানা ফরিদ আহমদ, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন আদীব ।
কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য দায়িত্বশীলরা হলেন নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা আলী উসমান, মুফতী সাঈদ নূর, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা হেলালুদ্দীন, মাওলানা শাহীনুর পাশা, মাওলানা কোরবান আরী কাসেমী, মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা হোসাইন হাবীবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতী শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মুফতি ওজায়ের আমীন, মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, মাওলানা মুহসিনুল হাসান, মাওলানা ফয়েজ আহমদ, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, বায়তুলমালসম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা রেজাউল হক, মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, অফিস মস্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন খান, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাঈদ, নির্বাহী সদস্য মাওলানা এনামুল হক নূর, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা মুশাহিদুর রহমান, মুফতী হাবীবুর রহমান, মাওলানা জসিম উদ্দীন, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মুফতি হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা আব্দুন নুর, মাওলানা সাব্বির আহমদ উসমানী, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা মুহসিন উদ্দীন বেলালী, মাওলানা আব্দুল মুমিন, মাওলানা মামুনুর রশীদ, মাওলানা লিয়াকত হোসাইন, মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার, মুফতি আজিজুল হক, হাফেজ শহীদুল ইসলাম, মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ, মওলানা আনোয়ার মাহমুদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা রেজাউল করিম।
"জুলাই এর প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা " এ ঘোষণা সংবলিত লিফলেট বিতরণ করেছে ফরিদপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তারা লিফলেট বিতরণ করে।
ঘোষণাপত্রে যে বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয় তা হলো, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মঞ্চে আহতদের বিনামূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করতে হবে, বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে, ঘোষণাপত্রে 'বৈষমাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' এর নেতৃত্ব পরিস্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে, ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভূত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করতে হবে, ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যাক্ত করতে হবে, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রতি থাকতে হবে।
এসময় তারা বলেন, জুলাই আন্দোলনের একমাত্র লক্ষ্য আওয়ামী ফাদিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না; বরং গত ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে।
এসময় ছাত্র আন্দোলনের সোহেল রানা, মেহেদী ইবনে ইলিয়াস, সাইফ খান, কাজী, রিয়াজ, তোমাফাজ্জল হোসেন, কাইয়ুম, জেবা জেসমিম, সমতা, অতসি, অথৈ সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট' এ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গতকাল (১০ জানুয়ারি) আমন্ত্রণ পাবার কথা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এই কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট' এর জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটি সদস্য ও চেয়ারপার্সন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটি সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৫-৬ ফেব্রুয়ারী ওয়াশিংটন ডিসিতেইউএস কংগ্রেসনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বে জাতীয় প্রার্থনা প্রাতঃরাশ অনুষ্ঠিত হবে।
ঝালকাঠির রাজাপুরে ১০৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটিতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের লোকজন থাকায় কমিটির ১৩ সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে উপস্থিত হয়ে এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
অভিযোগ তুলে উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির ৫৩ নং সদস্য আনভির মাহিম লিখিত পদত্যাগপত্র পাঠ করে জানান, গত বৃস্পতিবার ৯ জানুয়ারি জাতীয় নাগরিক কমিটি রাজাপুর উপজেলা শাখার ১০৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।
উক্ত কমিটিতে জুলাই বিপ্লবের পতিত শক্তি আওয়ামিলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের উপস্থিতি বিদ্যমান। এই কমিটিতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাথে সরাসরি ভাবে সম্পৃক্ত অনেকের নাম রাখা হয়েছে যে বিষয়ে আমরা কেহই অবগত ছিলাম না।
তাছাড়া অনেক সাধারণ মানুষের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা এই নাগরিক কমিটিতে থাকার বিন্দু মাত্র আগ্রহ প্রকাশ করে না। তাই জাতীয় নাগরিক কমিটির এই তালিকা দেখে জুলাই বিপ্লবের সক্রিয় কর্মী হিসেবে তারা অস্বস্তি বোধ করছে। এমন অবস্থায় তারা সকলে সম্মিলিত ভাবে ৯ জানুয়ারি প্রকাশিত জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে সেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে পদত্যাগ করেছে।
পদত্যাগকারীরা হলেন মোঃ নাইম হোসেন (ক্রমিক নং-১৮), আল ইমরান (ক্রমিক নং-২০), তরিকুল ইসলাম মারুফ (ক্রমিক নং-২১) আল শাহরিয়ার নিবির (ক্রমিক নং-৩২), তানভির আহমেদ সাকিব (ক্রমিক নং-৩৬), আনভির মাহিম (ক্রমিক নং-৫৩), আশরাফুল হোসেন ইমন (ক্রমিক নং-৫৪), সাকিবুল ইসলাম (ক্রমিক নং-৫৫), জাহিদ হাসান রিফাত (ক্রমিক নং-৬২), নাকিব (ক্রমিক নং-৬৩), হৃদয় তালুকদার (ক্রমিক নং-৬৭), নওশীন আঞ্জুম রোহান (ক্রমিক নং-১০৭), মাইনুল ইসলাম (ক্রমিক নং-১০৮)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাপুর মহিলা কলেজের গ্রন্থাগার ও জাতীয় নাগরিক কমিটির রাজাপুর প্রতিনিধি তাইমুর হায়দার সজীব জানান, যার ইচ্ছে আসতে পারে, যার ইচ্ছে চলে যাবে। তাতে কোন সমস্যা নেই। ফ্যাসিস্ট বিরোধী, রাষ্ট্র ও দুর্নীতি, চাঁদাবাজ বিলোপ কমিটি এটা। এটার নিয়ম মেনে যে কেহ সদস্য হতে পারে, আবার যে কেহ চলে যেতে পারে এটা নিয়ে কোন সমস্যা নেই।
এবিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সাংগঠক মশিউর রহমান বলেন, আমরা তো ঢাকায় বসে দেখি নাই কারা আন্দোলনে যুক্ত ছিলো। রাজাপুর থেকে সজীব সবার নামের তালিকা পাঠিয়ে দিছে এরপর আমরা ঘোষণা দিছি। তবে যারা আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলো তাদের নাম এই কমিটিতে রাখার প্রশ্নই আসে না। আমরা এবিষয়ে সজীবের সাথে কথা বলে ব্যাবস্থা নিবো।