রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেল গণসংহতি আন্দোলন
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেল গণসংহতি আন্দোলন। জুনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন এ দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর (চ্যাপটার ৬এ) বিধান-বলে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ইসি সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানায়।
ইসি জানায়, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেল গণসংহতি আন্দোলন। জুনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন এ দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর (চ্যাপ্টার ভিয়া) বিধান বলে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। দলটির প্রতীক মাথাল। নিবন্ধন নম্বর ৫৩।
নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত নিবন্ধন সংক্রান্ত গেজেটে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন না- ১৩৮০৫/২০১৮ এর বিগত ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখের প্রদত্ত রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ চ্যাপ্টার ৬এ’র বিধান অনুযায়ী প্রধান কার্যালয় ৩০৬-৩০৭ রোজ ভিউ প্লাজা, ১৮৫ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, হাতিরপুল, ঢাকা ১২০৫ এ অবস্থিত গণসংহতি আন্দোলনকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধন করেছে।
জানা গেছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। তবে ইসি থেকে তা অগ্রাহ্য হওয়ায় গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ সাকি হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল আবেদন করেন।
তবে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর কমিশন তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগের আগে বিদায়ী হাবিবুল আওয়াল কমিশন আপিল না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নির্বাচন কমিশনের করা আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। একই দিনে দলটির বিষয়ে কারো কোন দাবি আপত্তি রয়েছে কী না সেজন্য ৬ দিনের সময় দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ছিল তার শেষ সময়।