‘দেশে নতুন জুলুমবাজের উত্থান ঘটতে দেয়া হবে না’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- বার্তা২৪.কম

ছবি- বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেছেন, বাংলাদেশের জুলুমবাজের পতন হয়েছে নতুন জুলুমবাজের উত্থান ঘটতে দেয়া হবে না। এজন্য আমরা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পাইন্দং ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

পাইন্দং ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি নবীর হোসেন মাসুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, মুখে না পালানোর কথা বললেও নিজের সিদ্ধান্তে দলকে বিপদে ফেলে পালিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এখন বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ বিরোধীদের রুখে দিতে হবে।

তিনি বলেন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে হবে কর্মীদের চরিত্র মাধুর্য ও নেক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে। সকলকে আমানতদার হতে হবে এবং সব সময় খেয়ানত থেকে বাঁচতে হবে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে ময়দানের অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে। তাহলে দ্বীনের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে।

প্রধান বক্তা নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের যে অর্জন, সেই অর্জনকে নস্যাৎ করে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের ফসল এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ ব্যাপারে সর্তক ও সজাগ হতে হবে। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসরদের আর কোনো চক্রান্ত এ দেশের জনগণ সফল হতে দেবে না। দেশের পট পরিবর্তনে প্রত্যেক নাগরিকের জীবনে স্বস্তি এসেছে। পরবর্তীতে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন তারা যেন আগের মতো জালিম না হয়। সবাইকে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সকল ধরনের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

'স্বৈরাচারী সরকার পালাতে বাধ্য হলেও বিদেশে বসে এখনো ষড়যন্ত্রে অব্যাহত রেখেছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রতিটি ঘরে ঘরে, পাড়ায় পাড়ায় স্বৈরাচারের দোসরদের  বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলুন।'

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার মতো একজন রক্তপিপাসু, খুনির বিদায় হয়েছে। আওয়ামী লীগ এ দেশে পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছিল। আওয়ামী লীগের অনেককে পরিবারিক কারণে পদ দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের রাজনীতি পরিবারতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। শুধু এক দলীয় নয়, এক ব্যক্তির দিকে যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল পলাতক স্বৈরাচারের।

ফটিকছড়িবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য সকলকে প্রস্তুত হতে হবে। এই লক্ষ্যে প্রতিটি পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে সকল স্তরে ইউনিট গঠন করতে হবে। নীতি আদর্শের ভিত্তিতে কাজ করে যেতে হবে। ফটিকছড়ির বাসীর পক্ষে সৎ নেতৃত্ব আপনারা তৈরি করে দিবেন।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফটিকছড়ি থানা আমীর মাস্টার নাজিম উদ্দীন সিকদার, ফটিকছড়ি  উপজেলা সাবেক আমীর, মাওলানা নুরুল আলম আজাদ,  বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সাহিত্য  সম্পাদক শহিদুল ইসলাম  আজিজী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা উত্তরের অফিস সহকারী এজহার মিয়া, ফটিকছড়ি থানা নায়েবে আমীর এডভোকেট ইসমাইল গণি, থানা সেক্রেটারি ইউসুফ বিন সিরাজ।

সম্মেলন আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির পূর্ব জেলার নেতা সাইরান কাদের চৌধুরী, জি এম ইলিয়াস, এডভোকেট আলমগীর মুহাম্মদ ইউনুস, শ্রমিক নেতা গাজী বেলাল, ছাত্রশিবির পাইন্দং সভাপতি সম্রাট আকবার, ছাত্রশিবির ফটিকছড়ি শহর সভাপতি নাঈম উদ্দিন।